ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে তৃণমূল আরও বেশি করে আন্দোলনে নামুক, চাইছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের ধারণা, মমতা ও তাঁর অনুগামীরা যত পথে নামবেন, তত রাজ্য জুড়ে বার্তা যাবে যে অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের বাঁচাতেই পথে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ততই হিন্দু ভোটের মেরুকরণ হবে।
রাজ্য জুড়ে এসআইআর-এর কাজ শুরু হতেই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মমতা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, দল গোড়া থেকেই বলে আসছে কোনও হিন্দু ভোটার এবং ভারতীয় মুসলিমদের এসআইআর নিয়ে ভয় নেই। বাদ যাবেন কেবল মৃত ভোটার, দু’জায়গায় নাম রয়েছে, অন্যত্র চলে গিয়েছেন এমন ভোটারেরা। কোনও যোগ্য ভোটার বাদ যাবেন না। বিজেপির এক নেতা বলেন, “এর পরেও মমতা পথে নামলে স্পষ্ট হবে যে তিনি ও তাঁর দল অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের স্বার্থ বাঁচাতেই কেবল তৎপর। তাই মমতা যত অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নেবেন, তত সাধারণ হিন্দুরা বিজেপির পক্ষে একজোট হবেন।”
প্রাথমিক ভাবে ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছেন বিএলও-রা। যাঁদের অধিকাংশই সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাই চর্চা, ওই শিক্ষকদের উপর প্রভাব খাটিয়ে নিজের সমর্থকদের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না যায় তা নিশ্চিত করে ফেলবে তৃণমূল। তবে কেন্দ্রীয় ওই নেতার মতে, “বুথ ভিত্তিক ভুয়ো ভোটারের তথ্য রয়েছে আমাদের কাছে। তাই সোজা নালিশ করা হবে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)-এর কাছে। নোটিস জারি করতে বাধ্য হবেন ইআরও। যাঁদের কাছে ভুয়ো কাগজ রয়েছে, তাঁদের অন্তত কমিশনের শুনানিতে ভুয়ো কাগজ পেশ করার হিম্মত হবে না।”
দলের শীর্ষ এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে সব কিছু নিয়েই রাজনীতি চলে। আগে এনআরসি নিয়ে হয়েছে, এখন এসআইআর নিয়ে হচ্ছে। বিহারের ভোটেও এসআইআর কোনও প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শুরুতে অল্পবিস্তর ঝামেলা হলেও যত দিন গড়াবে তত সব শান্ত হয়ে যাবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)