Advertisement
E-Paper

মস্করার জবাবে ভিডিও প্রচার‌ বিজেপির

গত কয়েক মাস ধরেই গুজরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস— ‘বিকাশ গান্ডো থয়ো ছে’, অর্থাৎ উন্নয়ন পাগল হয়ে গিয়েছে! কংগ্রেসের বক্তব্য, মোদী শুধু মুখেই ‘উন্নয়ন উন্নয়ন’ করেন। বাস্তবে তার চিহ্নও দেখা যায় না। সে কারণেই এই প্রচারের ভাবনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৬
রাহুল গাঁধী

রাহুল গাঁধী

তিনি যেখানেই যান, উন্নয়নও নাকি তাঁর পিছনে পিছনে দৌড়য়— গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এমনই একটি ছবি তৈরি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। উন্নয়নের সেই ‘গুজরাত মডেল’কেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গোটা দেশে কার্যকর করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কোথায় সেই উন্নয়ন— এই প্রশ্ন তুলে গত দু’বছর ধরেই সরব দেশের বিরোধীরা। গুজরাতে গিয়ে খোদ রাহুল গাঁধী সেটি নিয়ে প্রশ্ন উস্কে দেওয়ার পরে বিরোধীদের বক্তব্য, মোদী জমানায় উন্নয়ন তো ‘পাগল’ হয়ে গিয়েছে।

অগত্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাহুলের গুজরাত সফরের পরেই সে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে পাল্টা প্রচারে নামতে হয়েছে মোদীর দলকে। ‘আমি উন্নয়ন, আমি গুজরাত’ শীর্ষক একগুচ্ছ ভিডিও তৈরি করে প্রচারে নেমেছে বিজেপি।

গত কয়েক মাস ধরেই গুজরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস— ‘বিকাশ গান্ডো থয়ো ছে’, অর্থাৎ উন্নয়ন পাগল হয়ে গিয়েছে! কংগ্রেসের বক্তব্য, মোদী শুধু মুখেই ‘উন্নয়ন উন্নয়ন’ করেন। বাস্তবে তার চিহ্নও দেখা যায় না। সে কারণেই এই প্রচারের ভাবনা। ওই প্রচার শুরু করার পরে যেখানে যা খামতি চোখে পড়েছে, তার ছবি তুলে ধরে কংগ্রেস বলতে শুরু করেছে, ‘বিকাশ গান্ডো থয়ো ছে!’ চলতি সপ্তাহের গোড়ায় গুজরাত সফরে গিয়ে রাহুলও বিভিন্ন সভায় সেই প্রসঙ্গ তোলেন। শুধু তাই নয়, নোট বাতিল আর জিএসটি চালুর পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, সেটিকেও পুঁজি করার চেষ্টা করেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি।

আরও পড়ুন: স্টেশনের ব্রিজে পিষে মৃত বাইশ

রাহুল কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘উন্নয়নের হল কী? পাগল কী করে হয়ে গেল?’’ ভরা সভায় এ কথা বলতেই হাসির রোল উঠেছে জনতার মধ্যে। কারণ, মোদীর উন্নয়ন নিয়ে এমন মস্করা এখন লোকের মুখে-মুখে। রাহুলও বিষয়টিকে আরও উস্কে দিয়ে বলেন, ‘‘মিথ্যা বলে বলে উন্নয়নও এখন পাগল হয়ে গিয়েছে! মানুষও বুঝতে পারছে, নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের মডেল আসলে ভুল। বেলাইন হওয়া এই উন্নয়নকেই লাইনে আনতে হবে।’’ রাহুলের মুখ থেকে এ কথা শোনার পরে রাজ্য কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে প্রচারের জোর বাড়িয়েছে। কারণ আর ক’মাস পরেই গুজরাতে বিধানসভা ভোট। মোদীর খাসতালুকেই উন্নয়ন নিয়ে এমন তামাশা শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি পাল্টা ভিডিও-প্রচার শুরু করতে হয়েছে বিজেপিকে।

বিজেপি যে নতুন ভিডিও তৈরি করেছে, তা পুরোদস্তুর গুজরাতি ভাষায়। গুজরাতের ‘মর্যাদা’কে মোদীর উন্নয়নের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিও জুড়ে শুধুই মোদীর বন্দনা। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে কী ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন, সেই দাবিই তুলে ধরা হয়েছে তাতে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, বছর শেষে গুজরাত ভোটে মুখ মোদীই।

বিজেপির এক নেতা কবুল করেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীই সোশ্যাল মিডিয়ায় কী করে দাপাতে হয়, তা শিখিয়েছিলেন। এখন সেই মিডিয়াই বুমেরাং হচ্ছে!’’ গুজরাত নিয়ে মোদী ও অমিত শাহের এই উদ্বেগের কারণেই অরুণ জেটলি, নির্মলা সীতারামনের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও গুজরাতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও উদ্বেগ বিশেষ কমছে না।

Rahul Gandhi রাহুল গাঁধী BJP Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy