Advertisement
E-Paper

ভোটের মুখে পঞ্জাবে জেরবার বিজেপি

জনরোষ এড়াতে দল ছেড়ে দেওয়া বা ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়ার উদাহরণও মিলছে বহু।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৪১
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

কৃষক বিক্ষোভের জেরে পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বড় আতান্তরে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। পরিস্থিতি এমনই যে, পাঁচ বছর আগে পঞ্জাবের পুরভোটে বিরোধীদের কার্যত উড়িয়ে দেওয়া বিজেপি এখন সেখানে বেশির ভাগ আসনে প্রার্থী দাঁড় করাতেই হিমশিম খাচ্ছে। জনরোষ এড়াতে দল ছেড়ে দেওয়া বা ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়ার উদাহরণও মিলছে বহু।

কেন্দ্রীয় নেতাদের মতোই গোড়ার দিকে কৃষকদের বিক্ষোভকে গুরুত্ব দেননি হরিয়ানা বা পঞ্জাবের বিজেপি নেতারা। তবে দিল্লির নেতাদের মতো এই কৃষক বিক্ষোভে খলিস্তানি-যোগের কথা সুর চড়িয়ে বলেননি তাঁরা। গোড়ার দিকে সিংঘু, টিকরির মতো বিক্ষোভের কেন্দ্রগুলিকে এড়িয়েই যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু যত দিন গেছে জালন্ধর, লুধিয়ানা, সাংগ্রুর, অমৃতসর, তরণতারণ-সহ পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষোভের আঁচ টের পেয়েছেন কেন্দ্রের শাসক দলের নেতারা। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরে কৃষকদের ক্ষোভ জমছিল বিজেপি নেতাদের উপরে। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক শীর্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কৃষি আইনের প্রশংসা এবং একাধিক বিজেপি নেতার মুখে এই বিক্ষোভের সঙ্গে খলিস্তানি, মাওবাদী যোগের তত্ত্ব সেই ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে। আর ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিলকে ঘিরে অশান্তি, ধরপাকড় সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে। পুরভোটের মুখে পঞ্জাবে সেই ক্ষোভের আঁচ বিলক্ষণ টের পাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের মধ্যে যাঁরা দল ছেড়ে বসে গিয়েছেন, তাঁদের পরিস্থিতি এক রকম। কিন্তু যাঁরা এখনও দলে আছেন, তাঁরা রীতিমতো চাপে। কখন বাড়ির বাইরে জনতা বিক্ষোভ দেখাতে বসে পড়ে, সেই

আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে থাকছেন অনেকে। কোনও জায়গায় যাওয়ারও উপায় নেই। দলেরই এক নেতার কথায়, ‘‘জানতে পারলেই ঘেরাও করছে!’’ এবং এমন পরিস্থিতির জন্য বিজেপির এই নেতারা কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসই কৃষকদের

উস্কানি দিচ্ছে।

এই বিক্ষোভ-আতঙ্কের মধ্যে আরও একটি দিক বেশি ভাবাচ্ছে পঞ্জাবের বিজেপি নেতাদের। ২০১৫-য় শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে জোট করে পঞ্জাবের বেশির ভাগ পুরসভায় বিপুল জয় পেয়েছিল তারা। এ বারে পরিস্থিতি পুরো উল্টে গিয়েছে। সেখানে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ আসনে প্রার্থী দাঁড় করাতেই হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। প্রচার তো দূরস্থান! শুধু জানুয়ারিতেই বিজেপির অন্তত জনা ২০ নেতা দল ছেড়েছেন। তাঁদের অনেকে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু তাতেও অস্বস্তি কাটছে না। বিজেপিতে দীর্ঘদিন থাকার দরুণ এলাকায় পরিচিত নেতাদের অনেকে জনরোষের ভয়ে প্রচারেও নামতে পারছেন না। এ দিকে ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। অপর তিন প্রতিপক্ষ কংগ্রেস, শিরোমণি অকালি দল এবং আম আদমি পার্টি কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলে জোর গলায় প্রচারে নামলেও এ বারের পুরভোটে ঘরে বসেই তা দেখতে, শুনতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের।

BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy