আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ভূপেন হাজরিকার জন্মশতবর্ষ অসমে বিজেপি সরকারের কাছে পড়ে পাওয়া হাতিয়ার। গুয়াহাটির খানাপাড়ায় ভূপেন হাজরিকা জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভূপেন হাজরিকার গান, কথা, জীবনকেও সেই মতোই ব্যবহার করলেন। তাঁর আদর্শকে আত্মনির্ভর ভারত, ভোকাল ফর লোকাল-এর মতো স্লোগানের খাতে প্রবাহিত করে দিলেন। হাজরিকার দেশপ্রেমকে জুড়ে দিলেন অপারেশন সিঁদুরের সঙ্গে।
এ দিন গুয়াহাটির অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমেরিকা থেকে স্ত্রী-পুত্র-সহ এসেছেন ভূপেনপুত্র তেজ হাজরিকা। ছিলেন ভূপেন হাজরিকার ভাই সমর হাজরিকা, বোন কবিতা বরুয়া, প্রয়াত ভাই জয়ন্ত হাজরিকার স্ত্রী মনীষা হাজরিকা, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। অনুষ্ঠানের সূচনায় ভূপেন হাজরিকার বিভিন্ন কালজয়ী সঙ্গীত সমবেত ভাবে পরিবেশন করেন ১১০০-র বেশি শিল্পী। ২১টি ভাষায় অনুবাদ করা ভূপেন হাজরিকার জীবনী প্রকাশ করেন মোদী। উদ্বোধন করেন ভূপেন হাজরিকা স্মারকরৌপ্য মুদ্রা।
মোদী বক্তৃতায় বলেন, “ভূপেনদার গান, কথা, লেখা এখনও ভারতের বিকাশের যাত্রায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। তাঁর গানে ‘মা ভারতী’র প্রতি এত প্রেম ছিল কারণ তিনি ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবনাকে যাপন করতেন।”
মোদীর কথায়, “কয়েক দশক আগে যখন উত্তর-পূর্ব বঞ্চনা, বিচ্ছিন্নতাবাদের শিকার ছিল, তখন তিনি উত্তর-পূর্ব ও অসমকে বেঁধে রাখতে গান রচনা করে চলেছিলেন। তাঁর আদর্শকে সামনে রেখেই আমরা উত্তর-পূর্বের জন্য দিনরাত কাজ করছি। আমাদের সরকার তাঁকে ভারতরত্ন দিয়ে পূর্বোত্তরের স্বাভিমানকে সম্মান জানিয়েছে। গত ১১ বছরে সরকার অসমের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গোটা দেশকে সচেতন করে চলেছে।”
মোদীর বক্তব্য, “ভারত-চিন যুদ্ধের ভূপেনদা রচনা করেন, প্রতি জওয়ান রক্তর বিন্দু, হোল সাহসর অনন্ত সিন্ধু’ ,যা গোটা দেশকে নতুন ভাবে উদ্বুদ্ধ করে। সেই প্রেরণা এখনও অটুট, যা অপারেশন সিঁদুরেও আমরা দেখেছি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী চক্রান্তকে দেশ এমন জবাব দিয়েছে যে ভারতের শক্তির স্বরূপ সারা দুনিয়া দেখেছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)