বসুন্ধরা রাজে।
মন্ত্রী, আমলা, বিচারকদের রক্ষাকবচ সংক্রান্ত রাজস্থানের অধ্যাদেশটি বিধানসভায় পেশের দিনই সেটা আদালতে গড়াল। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা, বিরোধীদের পাশাপাশি বিজেপির দুই বিধায়কও প্রকাশ্যে এই বিলের বিরোধিতায় নামলেন। বসুন্ধরা সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাঁরা তুলনা টানলেন জরুরি অবস্থার। চাপের মুখে বিলটি নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে আজ বিলের পক্ষেই সওয়াল করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মোদীর আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বললেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা থেকে আমলাদের আড়াল করতেই এই সিদ্ধান্ত। রাজস্থানে মিথ্যা মামলা ৭৩ শতাংশ। রবিশঙ্করের প্রতিমন্ত্রী পি পি চৌধুরীও বললেন, ‘‘এই অধ্যাদেশ নিখুঁত।’’ পুরো ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে। ব্যক্তি ও সংবাদমাধ্যমের অধিকার সুনিশ্চিত রয়েছে।
প্রবল বিরোধিতার মধ্যেই আজ বসুন্ধরা সরকার অধ্যাদেশটি বিধানসভায় পেশ করে। আগামী তিন দিন এই নিয়ে আলোচনা করে অনায়াসে পাশও করিয়ে নিতে পারবেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে। কিন্তু বিধানসভার বাইরে আজ কালো ব্যাজ পরে কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লটের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। সচিনের মতে, দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করতেই এই বিল আনা হয়েছে। আজ এক প্রবীণ আইনজীবী রাজস্থান হাইকোর্টে অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেন। চলতি সপ্তাহেই এর শুনানির সম্ভাবনা। কিন্তু বসুন্ধরাকে চমকে দিয়ে বিজেপিরই দুই বিধায়ক আজ এই বিলের বিরোধিতায় সামনে এসেছেন। নরপত সিংহ রাজভি ও ঘনশ্যাম তিওয়ারির মতে, এই বিল অসাংবিধানিক। বিজেপি সব সময় জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করে এসেছে। এখন এমনই আর একটি বিল আনা হচ্ছে, যেটি মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে। তাঁদের মতে, প্রয়োজন হলে মানহানি আইনকেও কড়া করা যেতে পারত।
বিরোধীদের মতে— সেটা না-করে এমন একটি বিল আনা হচ্ছে, যেখানে মন্ত্রী, আমলাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নিয়ে মামলার জন্য সরকারি অনুমতির জন্য ছ’মাস অপেক্ষা করতে হবে। এই ছ’মাসের মধ্যে সরকার নিজেই প্রমাণ লোপাট করে দিতে পারে। সংবাদমাধ্যম অভিযোগ প্রচার করলেও সম্পাদক-সাংবাদিককে দু’বছর কারাবাসের শাস্তি পেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy