E-Paper

‘সরকারি প্রার্থী’, নেতার মন্তব্যে বিতর্কে বিজেপি

অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জিতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। তাঁর মতোই বিনা যুদ্ধে জিতেছেন বিজেপির অন্তত আরও পাঁচ বিধায়ক। আজ ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাওয়াং জেলার মুক্তো বিধানসভা কেন্দ্রে অন্য কোনও প্রার্থী পেমার বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দেননি। তবে রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের মুখেই পেমার দলের এক নেতার বিতর্কিত মন্তব্য এবং তাঁর সমর্থনে পেমার মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। অরুণাচলের লেপারাদা জেলার বাসার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ন্যাবি দির্চির বিরুদ্ধে নির্বাচনবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাল হওয়া ভাষণে ন্যাবিকে বলতে শোনা গিয়েছে, যে হেতু বিজেপি সরকার তাঁকে প্রার্থী করেছে, তাই সব সরকারি কর্মী, গ্রামপ্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য, যাঁরা সরকারের থেকে বেতন নেন, তাঁদের উচিত তাঁকেই ভোট দেওয়া। অভিযোগ, ন্যাবি হুঁশিয়ারিও দেন যে, “বিজেপির গুপ্তচরেরা সর্বত্র ছড়িয়ে। যাঁরা নির্দেশ মেনে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেবেন না, তাঁদের শনাক্ত করা হবে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে যখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে তখন কিন্তু আমায় দোষ দেবেন না।” এ নিয়ে বিরোধীরা সরব। একা প্রার্থীই নন, মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর বিরুদ্ধেও নির্বাচনবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। কারণ তিনি বলেছেন, “যদি ন্যাবি হেরে যান, তবে আগামী পাঁচ বছর আমি এখানে পা রাখব না।” জেলা নির্বাচনী আধিকারিক জানান, নির্বাচনবিধি সংক্রান্ত নোডাল অফিসার বিষয়টির তদন্ত করছেন। পেমার মতো বিধানসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাগালিতে রাতু টেচি, জ়িরোতে হাগে আপ্পা। এ ছাড়া তালিতে জিক্কে টাকো, তালিহায় ন্যাতো ডুকোম ও রোয়িংয়ে মুটচু মিথিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও বাকি। এ দিকে, অরুণাচলে এনপিপির দুই বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গত ভোটে ৫টি আসন পেয়েছিল এনপিপি। সেই বিধায়কদের ৪ জনই বিজেপিতে চলে এলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ০৯:২৭
BJP

—প্রতীকী ছবি।

অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জিতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। তাঁর মতোই বিনা যুদ্ধে জিতেছেন বিজেপির অন্তত আরও পাঁচ বিধায়ক। আজ ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাওয়াং জেলার মুক্তো বিধানসভা কেন্দ্রে অন্য কোনও প্রার্থী পেমার বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দেননি।

তবে রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের মুখেই পেমার দলের এক নেতার বিতর্কিত মন্তব্য এবং তাঁর সমর্থনে পেমার মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। অরুণাচলের লেপারাদা জেলার বাসার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ন্যাবি দির্চির বিরুদ্ধে নির্বাচনবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাল হওয়া ভাষণে ন্যাবিকে বলতে শোনা গিয়েছে, যে হেতু বিজেপি সরকার তাঁকে প্রার্থী করেছে, তাই সব সরকারি কর্মী, গ্রামপ্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য, যাঁরা সরকারের থেকে বেতন নেন, তাঁদের উচিত তাঁকেই ভোট দেওয়া। অভিযোগ, ন্যাবি হুঁশিয়ারিও দেন যে, “বিজেপির গুপ্তচরেরা সর্বত্র ছড়িয়ে। যাঁরা নির্দেশ মেনে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেবেন না, তাঁদের শনাক্ত করা হবে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে যখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে তখন কিন্তু আমায় দোষ দেবেন না।” এ নিয়ে বিরোধীরা সরব। একা প্রার্থীই নন, মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর বিরুদ্ধেও নির্বাচনবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। কারণ তিনি বলেছেন, “যদি ন্যাবি হেরে যান, তবে আগামী পাঁচ বছর আমি এখানে পা রাখব না।” জেলা নির্বাচনী আধিকারিক জানান, নির্বাচনবিধি সংক্রান্ত নোডাল অফিসার বিষয়টির তদন্ত করছেন।

পেমার মতো বিধানসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাগালিতে রাতু টেচি, জ়িরোতে হাগে আপ্পা। এ ছাড়া তালিতে জিক্কে টাকো, তালিহায় ন্যাতো ডুকোম ও রোয়িংয়ে মুটচু মিথিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও বাকি। এ দিকে, অরুণাচলে এনপিপির দুই বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গত ভোটে ৫টি আসন পেয়েছিল এনপিপি। সেই বিধায়কদের ৪ জনই বিজেপিতে চলে এলেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BJP Arunachal Pradesh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy