Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Trust Vote in Himachal Pradesh

আস্থাভোটের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে বিজেপি, হিমাচলে সরকার বাঁচাতে পারবে কংগ্রেস?

মঙ্গলবার সে রাজ্যের রাজ্যসভা আসনের ভোটে বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজন হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে।

(বাঁ দিকে)হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর এবং মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু।

(বাঁ দিকে)হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর এবং মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৯
Share: Save:

হিমাচল প্রদেশের একটি মাত্র রাজ্যসভা আসনে জয়ের পরেই রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্ল-র সঙ্গে দেখা করল বিজেপি। বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের দাবি জানাল বিজেপি।

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর পর বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর বলেন, “জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকা সত্ত্বেও আমাদের প্রার্থী হর্ষ মহাজন রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। নীতিগত ভাবে কংগ্রেসের এই রাজ্যে আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জয়ের পরেই বিজেপি দাবি তুলেছিল, লোকসভা ভোটের আগেই সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে।

মঙ্গলবার সে রাজ্যের রাজ্যসভা আসনের ভোটে বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজন হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় হিমাচলে। সেখানে রাজ্যসভার একটি আসনে সরাসরি লড়াই ছিল শাসক কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপির। কংগ্রেসের ছ’জন-সহ অন্তত ন’জন বিধায়কের ক্রস ভোটিংয়ের জেরেই এই ফলাফল বলে অভিযোগ। ৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৪০। এ ছাড়া তিন জন নির্দল বিধায়ক সুখু সরকারকে সমর্থন করছেন। অন্য দিকে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৫। অর্থাৎ, সরকার পক্ষের ন’জন বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে হর্ষকে ভোট দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ছ’জন কংগ্রেস এবং তিন নির্দল রয়েছেন সেই দলে। ঘটনাচক্রে, সুখুর বিরোধী অন্তত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক কাংড়া অঞ্চলের বাসিন্দা। বিজেপি প্রার্থী হর্ষ কাংড়ার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা।

মঙ্গলবারের ফলের পরে বিজেপি দাবি তোলে লোকসভা ভোটের আগেই সে রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস বিধায়কদের অপহরণের অভিযোগের। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পাঁচ-ছ’জন বিধায়ককে অপহরণ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং বিজেপি শাসিত হরিয়ানার পুলিশ।’’ ভোটের ফল প্রকাশের পরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেছেন, ‘‘হিমাচলে গণতন্ত্রকে খুন করল বিজেপি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE