চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুরে আসতে চলেছেন। তার আগেই বড় কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করল কেন্দ্র। মেইতেইদের দীর্ঘদিনের দাবি ও তীব্র আপত্তি অগ্রাহ্য করে কেন্দ্র আজ নয়াদিল্লিতে কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন এবং ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফের এক বছরের জন্য সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে ফেলল। চুক্তির সংশোধিত মূলনীতিগুলির মধ্যে মণিপুরের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার জন্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের শর্ত ঢুকিয়ে দেওয়া হল। অর্থাৎ, এরপর সংঘর্ষবিরতিতে থাকা জঙ্গিরা মণিপুর ভেঙে পৃথক কুকিল্যান্ড গঠনের দাবি তুলতে পারবে না। সেই সঙ্গে কুকিরা অনড় মনোভাব ছেড়ে আলোচনায় বসবে। এর পরে কুকি-জ়ো কাউন্সিল ঘোষণা করল, এখন থেকে যাত্রী ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অবাধ চলাচলের জন্য ২ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হবে। নিরাপত্তা বাহিনী যাতে শান্তি বজায় রাখতে পারে, সেই প্রচেষ্টায় তারা পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
সংশোধিত চুক্তিতে আরও বলা হল, সংঘাতপ্রবণ এলাকা থেকে সাতটি শিবির সরিয়ে নেবে কুকি জঙ্গিদের দুই যৌথ মঞ্চ। শিবিরের সংখ্যাও কমানো হবে। সংঘর্ষে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ বারবার উঠেছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, সব অস্ত্র নিকটবর্তী সিআরপিএফ বা বিএসএফ শিবিরে দিতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনী কুকি জঙ্গিদের খুঁটিয়ে পরীক্ষা করবে। তাদের মধ্যে কোনও বিদেশি নাগরিক থাকলে তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। শিবিরগুলির উপর নজর রাখা হবে। ভবিষ্যতে নিয়মভঙ্গ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে চুক্তি পুনর্বিবেচনাও করা হবে।
এ দিকে, জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ায় কুকি-জো কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়ক কখনও বন্ধ বা অবরুদ্ধ করা হয়নি। শুধু মাত্র কাংপোকপি জেলার মধ্যদিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের অংশে আমাদের নজরদারি ছিল। আমরা এখনও বলছি, জাতীয় সড়ক অবরোধমুক্ত করাকে যেন কোনও ভাবেই কুকি-মেইতেই এলাকার বাফার জ়োন জুড়ে অবাধ চলাচলের অনুমোদন হিসাবে না ভাবা হয়।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)