গত তিন দিনে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ১০ জন বিজেপি সভাপতি নির্বাচন হয়ে গেলেও, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশ। দুইক্ষেত্রেই রাজ্য নেতৃত্বের আপত্তির কারণে এখনও সভাপতি বেছে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সর্বভারতীয় সভাপতি বেছে নেওয়ার প্রশ্নে প্রয়োজনীয় সংখ্যক রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে দল। সূত্রের মতে, আরএসএস এবং বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে মতৈক্য হলেই নতুন মুখ ঘোষণা করেদেবে দল।
কর্নাটকে বর্তমানে বিজেপি সভাপতি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিজয়েন্দ্র। ছেলে দ্বিতীয় বার রাজ্য সভাপতি পদে থাকুক, এই দাবিতে কার্যত অনড় ইয়েদুরাপ্পা। ২০২৮ সালে ওই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ওই সময় পর্যন্ত তাঁর ছেলেকেই বিজেপি সভাপতি রাখার দাবি ইয়েদুরাপ্পার। কর্নাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত গোষ্ঠীর ওই নেতার যুক্তি, বিজয়েন্দ্রকে সরিয়ে অন্য কাউকে করা হলে বিজেপির পিছন থেকে লিঙ্গায়েত সমর্থন হারিয়ে যাবে। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বুঝতে পারছেন, লিঙ্গায়েত ভোট সরে গেলে ওই রাজ্যে দলের হাল আরও খারাপ হবে। তাই ইয়েদুরাপ্পাকে চটিয়ে অন্য কাউকে সভাপতি করতে চাইছে না দল।
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের চূড়ান্ত সম্মতি না মেলায় ওই রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন থমকে। ২০২৭-এ বিধানসভা ভোট ও সেই ভোটে জাতপাতের অঙ্ককে মাথায় রেখে সভাপতি নির্বাচন করার পক্ষপাতী দল। যোগী ঠাকুর সম্প্রদায়ের হওয়ায় সভাপতি পদে ওবিসি মুখকে বেছে নেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দৌড়ে রয়েছেন পশুপালন বিভাগের মন্ত্রী ধর্মপাল সিংহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীবি এল বর্মা। দু’জনেই পিছিয়ে থাকা লোধ সম্প্রদায়ের। এ ছাড়া, যাঁদের নাম চর্চায় রয়েছে তাঁরা হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসাধ্বী নিরঞ্জনা জ্যোতি। তাঁকে সভাপতি করা হলে মহিলাদেরও বার্তা দেওয়া যাবে। সূত্রের মতে,সভাপতি পদে যোগীর পছন্দ স্বতন্ত্র দেবসিংহ। রাজ্য সভাপতি বেছে নেওয়ার প্রশ্নে ব্রাহ্মণদের চাপওরয়েছে দলের উপরে। ব্রাহ্মণ মুখ হিসেবে দৌড়ে রয়েছেন দীনেশ শর্মা। শেষ পর্যন্ত কোন নামে সিলমোহর পড়ে,তাই এখন দেখার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)