খোশমেজাজে। পঞ্জাবে বিধানসভার ভোট ৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগে বৃহস্পতিবার সংরুর জেলার বালিয়া গ্রামে প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে দুপুরে খাওয়াদাওয়া করলেন কংগ্রস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। দুপুর বেলা তরকারি, মাংস-সহযোগে রুটি খেতে খেতে গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা শোনেন রাহুল। ছবি: পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদীর বাজেটকে ভোট-হাতিয়ার করে অমিত শাহ যখন প্রচারে নামছেন, সেই সময় তা মোকাবিলা করার কৌশলও তৈরি করছেন রাহুল গাঁধী।
গত কাল বাজেটের পরেই রাহুল দাবি করেন— এই বাজেটে কৃষক, যুবকদের জন্য কিছু নেই। রোজগারের কথাও বলা নেই। কিন্তু বাজেট নিয়ে আক্রমণ আরও তীব্র করতে আজ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকেও আসরে নামান রাহুল। রাজ্যসভায় গুলাম নবি আজাদকে দিয়েও সরকারকে কোণঠাসা করা হয়েছে। আর প্রয়োজনে মনমোহন সিংহকেও নামানোর কথা ভাবছেন রাহুল। আগামী কাল আগরায় অখিলেশের সঙ্গে দ্বিতীয় রোড শো ও সভা করছেন রাহুল নিজে। সেখানে তিনি বাজেটের প্রসঙ্গ তুলেও সরকারকে বিঁধবেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর।
কাল রাহুল রাজনীতিতে কালো টাকা রোখার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। আজ এর সঙ্গে কালো টাকায় লেনদেনের সীমা বেঁধে দেওয়া, গরিবদের আবাসন, মেডিক্যালের আসন বাড়ানোর মতো গুটিকয়েক পদক্ষেপের তারিফ করেন চিদম্বরমও। কিন্তু এগুলি বাদে বাকি সব কিছুরই সমালোচনা করেন তিনি। চিদম্বরম বলেন, উত্তরপ্রদেশের ভোটকে প্রভাবিত করার জন্য এই বাজেটে সুকৌশলে অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ বুদ্ধিমান, তাঁরা প্রভাবিত হবেন না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাজেট নিয়ে আলোচনা থেমেছে। আর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তো আগেই বলেছেন, তাঁর রাজ্যে বাজেটের প্রভাব পড়বে না। প্রথম রোড শোয়ে সাফল্যের পরে কাল আগরার দ্বিতীয় রোড শোয়ে এ বিষয়ে সরব হবেন রাহুল-অখিলেশ দু’জনেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy