হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালা। ছবি- টুইটার থেক সংগৃহীত।
হরিয়ানায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক দল উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)-তে বিদ্রোহের সূত্রপাত হল। ইস্তফা দিলেন চৌটালার দলের সহ-সভাপতি বিধায়ক রাম কুমার গৌতম। বুধবার ইস্তফা দেওয়ার পর প্রকাশ্যে চৌটালার তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। জেজেপি-র এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে পৌঁছলে হরিয়ানায় বিজেপি-জেজেপি জোট সরকারের সঙ্কট গভীরতর হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টির সমর্থন না পেলে এ বার হরিয়ানায় সরকার গড়তে পারত না বিজেপি। গত কাল চৌটালার সমালোচনা করে বিধায়ক রাম কুমার গৌতম বলেছেন, ‘‘ওঁর (দুষ্যন্ত চৌটালা) ভুলে যাওয়া উচিত নয়, দলীয় বিধায়কদের সমর্থন না পেলে উনি কিন্তু উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না।’’
রাম কুমারের দাবি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই চৌটালা বেমালুম ভুলে গিয়েছেন ভোটের প্রচারে তিনি ও তাঁর দল আগাগোড়া বিরোধিতা করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দল বিজেপির। সেই প্রচারের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দলের সহ-সভাপতি পদে গত কাল ইস্তফা দেওয়ার পর রাম কুমার বলেছেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে হরিয়ানায় সরকার গড়ার বিষয়টিও দলীয় বিধায়কদের কাছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গোপন রেখেছিলেন দুষ্যন্ত। গোটা বিষয়টাই চূড়ান্ত করেছিলেন একটি মলে বসে। সে কথা পরে জনাতে পেরে আমরা খুবই ব্যথিত হই। এই সিদ্ধান্তে জেজেপি-কে যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাও ব্যথিত হন। বিধায়করা তো বটেই। তার পর সবক’টি গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে নেন দুষ্যন্ত। হাতে রেখেছেন রাজ্য ১১টি মন্ত্রিসভার ১১টি দফতর। বাকি বিধায়কদের কিছুই দেননি। এক দলীয় বিধায়ককে শুধুই ছোটখাটো একটা দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। অন্য বিধায়করাও তো মানুষের ভোটেই জিতে এসেছেন। এটা তো সেই ভোটারদের সঙ্গে প্রবঞ্চনারই শামিল।’’
দৃশ্যতই ক্ষিপ্ত রাম কুমার এও বলেন, ‘‘উনি আমাদের কাজকর্ম তিন মাস ধরে খতিয়ে দেখবেন বলেছেন। আমাদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার উনি কে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy