বিজেপির বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনই ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন। বিধানসভায় শুক্রবার ছিল ভোটাভুটি। তাতে বিরোধীদের প্রার্থী গোপাল রায়কে ৩২-১৪ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববন্ধু। বিরোধীদের প্রার্থীকে তিপ্রা মথাও সমর্থন করেছিল। কিন্তু আজ বসার জায়গা নিয়ে অভিযোগ তুলে তিপ্রার সদস্যেরা ভোট না-দিয়ে ওয়াক আউট করেন। তাতে বিজেপির জয়ের রাস্তা আরও সহজ হয়ে যায়।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষে বিশ্ববন্ধুকে বিজয়ী ঘোষণা করেন প্রোটেম স্পিকার বিনয়ভূষণ দাস। মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের সদস্যেরা নবনির্বাচিত স্পিকারকে তাঁর চেয়ারে নিয়ে যান। দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিধানসভার সব সদস্যকে ধন্যবাদ দিয়ে স্পিকার হিসেবে নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দেন বিশ্ববন্ধু। সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে সভা পরিচালনায় সকলের সহযোগিতাও চান।
বিধানসভায় সরকারি মুখ্য সচেতক হয়েছেন বিজেপির কল্যাণী রায়। বিরোধী দলনেতা তিপ্রা মথার অনিমেষ দেববর্মা। উপ-নেতা তিপ্রার দিলীপকুমার রিয়াং। তিপ্রার সচেতক বিশ্বজিৎ কলই। বিশ্ববন্ধুকে ট্রেজ়ারি বেঞ্চের তরফে অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, পরিষদীয় গণতন্ত্রের শিক্ষা ও জ্ঞানসম্পন্ন এক ব্যক্তিই স্পিকারের দায়িত্ব পেয়েছেন। রাজ্যের স্বার্থে তিনি বিরোধীদের পরামর্শ ও প্রস্তাব চেয়েছেন।
আগেই ঠিক হয়েছিল, বামেদের পরিষদীয় নেতা হবেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। উপ-নেতা হলেন শ্যামল চক্রবর্তী এবং সচেতক নির্মল বিশ্বাস। স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, ৪০ লক্ষ মানুষের স্বার্থরক্ষায় বিধানসভার সকলেই ভূমিকা নেবেন বলে তিনি আশা রাখেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)