এটাই শেষ সুযোগ।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয় নিজেদের টাকাপয়সার হিসেব দিন, নয়তো বিপদ ডেকে আনুন— কালো টাকা নিয়ে রেডিওতে এই ভাবেই হুঁশিয়ারি শুনিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশে ভারতীয়দের গচ্ছিত রাখা কালো টাকা উদ্ধার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভোটের প্রচারে। কিন্তু সরকার গড়ার দু’বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এ ব্যাপারে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেননি বলে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। এ দিন মোদী বুঝিয়ে দিলেন, হাল ছাড়েননি তিনি। কিছু দিন আগে আয়কর বিভাগের অফিসারদের কাছে কালো টাকা উদ্ধারে তাঁর কৌশলের কথা শুনিয়েছিলেন। আজ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও উঠল সেই প্রসঙ্গ।
নরমে গরমে চলতে চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আয় ঘোষণা করা হলে টাকা কোথা থেকে, কী ভাবে এল, সরকার তা খতিয়ে দেখবে না। এক বারও তাই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।’’ মোদীর ব্যাখ্যা— রাজস্ব, আয়কর ও শুল্ক দফতরের অফিসারদের তিনি বরং বলেছেন, দেশের মানুষকে চোর ভাবার কারণ নেই। তাঁদের ভরসা করা উচিত। আয়কর বিভাগ যদি তাঁদের মনে আস্থা আনতে পারে, তা হলে তাঁরা নিশ্চয়ই কর দেবেন। মোদীর মতে, অতীতে আয়করের নিয়মকানুন এমন ছিল যে মানুষ কর দিতে চাইতেন না। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন সরকারি নিয়ম মেনে চলাটা কোনও করদাতার কাছেই কঠিন কিছু নয়। তবে কর ফাঁকি দেওয়া যে হেতু পুরনো ব্যাধি, তাই এত সব ব্যবস্থা।
এ বার সেই কথাটাই সকলের সামনে বললেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর এই বিশ্বাসের অমর্যাদা করলে কপালে দুঃখ আছে। সরকারও তখন কড়া হতে পিছপা হবে না। এর আগে ইলাহাবাদে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে মোদী জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের পরে কালো টাকা রেখে কেউ পার পাবেন না। রেডিওতেও এ দিন তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। যাঁরা সেই পথে এগোবেন, তাঁদের সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে। কিন্তু অন্যথা হলে দরজায় কড়া নাড়বে বিপর্যয়। দেশবাসীর উদ্দেশে মোদীর পরামর্শ, ‘‘আইন ভাঙলে মনের শান্তি নষ্ট হবে। তখন নিচুতলার কেউও হেনস্থা করতে ছাড়বে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy