যে করেই হোক এসআইআর-এর কাজ শেষ করতে হবে সময়ের মধ্যে, বলা হয়েছিল সমস্ত বুথ স্তরের আধিকারিককে (বিএলও)। সেই ‘চাপ’ নিতে পারেননি। উত্তরপ্রদেশে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হল ৫৮ বছর বয়সি বিএলও-র। পরিবারের দাবি, এসআইআর-এর কাজের চাপেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এত চাপ নিতে পারেননি।
উত্তরপ্রদেশের মোদীনগরের নেহরু নগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন লালমোহন সিংহ। মোদী সায়েন্স ও কমার্স ইন্টার কলেজে শিক্ষকতা করতেন। পড়াতেন জীববিদ্যা। পরিবারের বক্তব্য, গত কয়েক দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। শনিবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তিনি যে কলেজে পড়াতেন, সেখানকার প্রিন্সিপাল সতীশচাঁদ আগরওয়াল বলেন, ‘‘এসআইআর-এর জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হচ্ছিল ওঁকে। খুব চাপে ছিলেন। প্রশাসন জানিয়েছিল, সময়ের মধ্যে যে করেই হোক কাজ শেষ করতে হবে। খুব চাপ নিয়ে উনি কাজ করছিলেন।’’
আরও পড়ুন:
উত্তরপ্রদেশের শহিদাবাদ বিধানসভা এলাকায় নির্দিষ্ট বুথে এসআইআর-এর কাজ করছিলেন প্রৌঢ়। মোদীনগরের সহকারী পুলিশ কমিশনার অমিত সাক্সেনা জানান, শুক্রবার রাতে বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ওই বিএলও-র। তবে এসআইআর-এর কাজ করতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ প্রশাসনিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে।
গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবি়ড় সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা, সেগুলি পূরণের পর ফের সংগ্রহ করা এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা বিএলও-দের কাজ। প্রথমে বলা হয়েছিল ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পরে সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিএলও-দের অভিযোগ, তাঁদের উপর অস্বাভাবিক চাপ পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও একাধিক বিএলও-র আত্মহত্যা বা অসুস্থতার কারণে মৃত্যুর খবর মিলেছে এই এসআইআর পর্বে।