পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী বলে তার খ্যাতি। কিন্তু দেখা মেলে অতি কদাচিৎ। ভারতের মহারাষ্ট্র উপকূলে শেষ বার নীল তিমির দেখা গিয়েছিল ১৯১৪ সালে। একশো বছর পার করে আবার গবেষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত ২৮ মার্চ মহারাষ্ট্রের কুঙ্কেশ্বর উপকূলের কাছে একেবারে এক জোড়া নীল তিমির দর্শন মিলেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্রপুঞ্জের উন্নয়ন পর্ষদ (ইউএনডিপি) এবং ভারত সরকারের গবেষকদের একটি দল শুশুকদের উপর সমীক্ষা চালাতে গত এক বছর ধরে মহারাষ্ট্রের সমুদ্রে নজর রেখেছেন। বেশ কয়েকটি বড় তিমি বেশ কয়েক বারই তাঁদের চোখে পড়েছে। কিন্তু কোঙ্কনের একটি গবেষক সংস্থার সদস্য কেতকী যোগ জানাচ্ছেন, ২৮ মার্চ সত্যিই চমকে গিয়েছিলেন তাঁরা। নৌকোর মাঝি হঠাৎই জলের মধ্যে একটা বিশালাকার চেহারার খানিকটা ভেসে উঠতে দেখে ওঁদের ডাকেন। ‘‘আমরা তাকাতেই দেখি নীল ‘মা’ তিমি আর একটু পরেই তার এক ছানা। বেশ কিছু ক্ষণ আমরা ওদের অনুসরণ করেছিলাম। কিন্তু ছানা সঙ্গে থাকলে মা সাধারণত বিরক্ত করা পছন্দ করে না। তাই একটু পরে আমরা সরে যাই।’’ তীর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে জলের ১৬ মিটার গভীরতায় সাঁতরাচ্ছিল তারা।
প্রমাণ আকারের নীল তিমি প্রায় ৯৮ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। ওজন প্রায় ১৮০ টন। এখন পৃথিবীতে ১০ হাজারের বেশি নীল তিমি নেই বলেই গবেষকদের দাবি। মহারাষ্ট্রের বন দফতরের চিফ কনজারভেটর (ম্যানগ্রোভ) এন বাসুদেবন জানাচ্ছেন, ভারতের নানা উপকূলেই নীল তিমিদের আনাগোনা থাকার কথা। এমনিতে খোলা সমুদ্রের বাসিন্দা হলেও মাঝে মাঝে খাবারের খোঁজে তীরের দিকে চলে আসে তারা। ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর তাদের পছন্দের বিচরণ ক্ষেত্র। বছর পাঁচেক আগে ম্যাঙ্গালোর উপকূলে এক বার নীল তিমি দেখা গিয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। তবে মহারাষ্ট্রের রেকর্ড বলছে, ১৯১৪ সালে একটি নীল তিমির মৃতদেহ ভেসে এসেছিল সমুদ্রতীরে। তার পর এত দিনে কপাল খুলল— একেবারে জোড়ায় দর্শন মিলল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy