Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪

গুজরাতের উপকূলে একাধিক সন্দেহজনক বোট, হামলার আশঙ্কায় জারি সতর্কতা

আজ পুণেয় একটি অনুষ্ঠানে সেনার সাদার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস কে সাইনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

গুজরাত সমুদ্রে নজরদারি।

গুজরাত সমুদ্রে নজরদারি।

নিজস্ব প্রতিবেদন 
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০২
Share: Save:

জলপথে দক্ষিণ ভারতে পাক জঙ্গিদের হামলার সম্ভাবনা নিয়ে ফের সতর্কতা জারি করল সরকার। এ বার সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গুজরাতের স্যর ক্রিকের কাছে কয়েকটি পরিত্যক্ত নৌকা মিলেছে। তা থেকে মনে করা হচ্ছে জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে দক্ষিণ ভারত।

আজ পুণেয় একটি অনুষ্ঠানে সেনার সাদার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস কে সাইনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। গুজরাতে পাক সীমান্তে স্যর ক্রিকের কাছে কয়েকটি পরিত্যক্ত নৌকো মিলেছে বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, হামলা প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই যাবতীয় সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। তাই এখনও আঘাত হানতে পারেনি জঙ্গিরা।

সম্প্রতি নৌসেনা প্রধান কর্মবীর সিংহ দাবি করেন, জলের নীচ দিয়ে হামলা চালানোর জন্য জইশ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা আদানি পোর্ট অ্যান্ড লজিস্টিকসের তরফেও বিবৃতি দিতে বলা হয়েছিল, কচ্ছ অঞ্চলে সমুদ্রপথে পাক জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে। ফলে গুজরাতের বন্দরে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি তামিলনাড়ু ও কেরলেও জইশ জঙ্গিদের একটি দল ঢুকে পড়েছে বলে গোয়েন্দাদের তরফে সতর্ক করা হয় দুই রাজ্যকে। সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়। জলপথেও চূড়ান্ত তৎপরতা দেখায় প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত কোনও হামলা না হলেও খোঁজ মেলেনি ওই জঙ্গিদের।

সরকারি সূত্রের খবর, কাশ্মীরে বিশেষ সুবিধে করে উঠতে না পেরে এ বার জলপথে জেহাদি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের প্রায় ৫০ জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ভারতের জলসীমানায় ঢুকে নৌবহর বা নৌ-ঘাঁটিতে হামলা চালানোর। পাক নৌ-বাহিনীর কম্যান্ডোরা ওই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকায়, বড় মাপের হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। পুলওয়ামার ঘটনার পরেই আরব সাগরে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য, পরমাণু সাবমেরিন চক্র, ৬০টি জাহাজ ও ৮০টি বিমানকে যে কোনও সময়ে হামলার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। এ বারেও তাই হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, আন্তর্জাতিক জল সীমানা থেকে ডুবুরির পোশাক পরে ওই জঙ্গিরা জলের তলা দিয়ে সাঁতরে এসে সরাসরি আত্মঘাতী হামলা করতে পারে ভারতীয় নৌসেনার জাহাজে।

অন্য বিষয়গুলি:

Gujrat Sir Creek Boat Alert
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE