আবার সেই নীল ড্রাম! মেরঠের পরে মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস। সেখানে ওই নীল ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ২২ বছরের তরুণীর হাত-পা বাঁধা পচাগলা দেহ। লক্ষিতা চৌধুরী নামে ওই তরুণীর পরনে ছিল গরবার পোশাক। অভিযোগ, তাঁকে হাত-পা বেঁধে ড্রামের জলে ডুবিয়ে দিয়েছেন তাঁর এক বন্ধু। মনু ওরফে মনোজ চৌহান নামে সেই তরুণ পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
৩৫ বছরের মনুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি দাবি করেছেন, অন্য এক তরুণকে ভালবাসতেন বলে লক্ষিতাকে খুন করেছেন তিনি। নিজের বাড়িতে ড্রামে ডুবিয়ে মেরেছেন তাঁকে। তার পরে পালিয়ে গিয়েছেন।
লক্ষিতার পরিবার থানায় অভিযোগ করে জানায়, গত সোমবার কলেজ যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার পরে আর ফেরেননি। তার পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার।
এর মধ্যেই বৈশালী নগর কলোনিতে মনুর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বার হতে শুরু করে। স্থানীয়েরা থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে সেই বাড়িতে নীল রঙের ড্রামের ভিতর থেকে লক্ষিতার দেহ উদ্ধার করে। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। তরুণীর দেহ ইনদওরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। তার পরেই থানায় আত্মসমর্পণ করেন মনু। তিনি জানান, অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল লক্ষিতার। সেই রাগেই তাঁকে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে খুন করেন তিনি।
এর আগে মেরঠে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করেছিলেন মুসকান রস্তোগী। তার পরে স্বামীর দেহ কেটে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে সিমেন্ট ঢেলে দিয়েছিলেন।