এ বার বোমাতঙ্ক বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে! সোমবার বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে উড়ান সংস্থা ‘এয়ার ইন্ডিয়া’র একটি বিমানে। বুধবার পুলিশ সূত্রে খবরটি জানা গিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব বেঙ্গালুরু পুলিশের ডিসিপি সজিত ভিজে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। ইমেল মারফত ওই হুমকি পাঠানো হয়েছিল উড়ান সংস্থাকে। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় বিমানবন্দর চত্বরেও।
আরও পড়ুন:
বিমানে বোমা রাখার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়ায় বিমানবন্দর জুড়ে। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। তবে দুপুর থেকে দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশি চালিয়েও কিছুই পাওয়া যায়নি। বরং তল্লাশি প্রক্রিয়ার কারণে বিমান উড়ানে দেরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। যদিও ঘটনার পরেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কে বা কারা ওই ভুয়ো হুমকি পাঠিয়েছিলেন, তার খোঁজ চলছে।
গত অক্টোবর মাস থেকেই দেশের একের পর এক বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো শুরু হয়। অন্তর্দেশীয় বিমান তো বটেই, একাধিক আন্তর্জাতিক বিমানেও ছড়াতে থাকে বোমাতঙ্ক। যদিও পরে দেখা গিয়েছে, সবগুলি বিমানেই বোমা রাখার তথ্য ভুয়ো। তবে ধারাবাহিক ভাবে বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রের। গত বছরের শেষেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারা এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাঁদের খোঁজে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। যে হেতু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক, তাই এক্স (সাবেক টুইটার), মেটার মতো সমাজমাধ্যমকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনআইএ) তৎপরতায় গোটা দেশের বিমানবন্দরগুলিতে আরও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। তার পরেও হুমকি আসা থামেনি! মঙ্গলবারই মুম্বই পুলিশকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে মুম্বইয়ের চেম্বুর থেকে বুধবার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।