রাহুল ও মোদী।
নরেন্দ্র মোদীর চারটি সভা শেষের পরে কপালে তিলক কেটে আমরেলিতে এলেন রাহুল গাঁধী। ততক্ষণে বিজেপি-কংগ্রেসে ঝড় চলছে তাঁর ধর্ম নিয়ে।
সে সব পাশ কাটিয়ে গুজরাত ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করেই রাহুল বললেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী প্রখর অভিনেতা। কাঁদতে অভিনেতাদের অনেক কসরত করতে হয়। কিন্তু আপনারা মিলিয়ে নিন, ভোটের ক’দিন আগে অঝোরে জল পড়বে ‘অ্যাক্টর সাহেবে’র চোখ দিয়ে। কারণ, এই কান্নায় তিনি ঢাকবেন আসল বিষয়গুলি।’’ গত সোমবার নরেন্দ্র মোদী আসরে নামতেই রাহুল তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন। মোদীর সভার ত্রিশ কিলোমিটার দূরেই সভা করেন হার্দিক পটেলও। আর পর্যবেক্ষকদের মতে, দুই তরুণ নেতার সভাতেই ভিড় বেশি হয়েছে মোদীর থেকে। আর সে কারণেই তাঁর দিকে ধেয়ে আসা যাবতীয় অভিযোগকে উপেক্ষা করেই রাহুল আজ শোনালেন গোটা নির্বাচন পর্বে কী কী বলবেন না নরেন্দ্র মোদী।
রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলবেন না কত রোজগার দিয়েছেন। মুখ খুলবেন না জয় শাহ কিংবা রাফালের দুর্নীতি নিয়ে। কৃষকদের জমি ছিনিয়ে শিল্পপতিদের ফায়দা দেওয়া নিয়ে কথা বলবেন না। জিএসটি, নোটবন্দি নিয়ে মানুষের ভোগান্তি নিয়েও চুপ থাকবেন। বলবেন শুধু নিজের ‘মন কি বাত’। কংগ্রেস মানুষের মনের কথা শুনবে। দশ দিনে কৃষকদের ঋণ মাফ করবে। সরকার হবে কৃষক, ছোট ব্যবসায়ীদের।
আজ সকালে দিল্লি ছাড়ার আগেই টুইট করে রাহুল প্রশ্ন ছোড়েন, ২২ বছরের হিসেব দিন নরেন্দ্র মোদী। কেন ৫০ লক্ষ ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পাঁচ বছরে ৫ লক্ষও দেওয়া হল না? কংগ্রেস সূত্রের মতে, রাহুল এ বার রোজ প্রশ্ন করবেন মোদীকে। জিএসটি ক্ষত উস্কে দিতে শনিবার সুরতে মনমোহন সিংহকেও পাঠাচ্ছেন রাহুল। কংগ্রেসের এক নেতার মতে, ‘‘আজ খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর একটি অডিও টেপ ফাঁস হয়েছে। যাতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কবুল করছেন, বিজেপি ভয়ে আছে। রাহুলের সক্রিয়তায় ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই আসল বিষয় ছেড়ে ভোটের মোড় নিরন্তর ঘোরানোর চেষ্টা করছে।’’
মোদী অবশ্য আজ চারটি সভার গোড়া থেকেই নিশানায় রেখেছিলেন রাহুলকে। বারবার নানা বিষয়ে টেনে এনেছেন নেহরু-গাঁধী পরিবারকে। বলেন, ‘‘১৯৮০ সালে মোরবীতে বাঁধ ভাঙ্গার পরে ইন্দিরা গাঁধী এখানে এসে নাকে রুমাল চেপে ধরেছিলেন, আর জনসঙ্ঘ মানুষের মধ্যে কাজ করছিলেন।’’ জিএসটি নিয়ে রাহুলের ‘গব্বর সিংহ ট্যাক্স’ কটাক্ষের জবাবে মোদীর মন্তব্য, ‘‘ডাকাতদের ডাকাতের কথাই মনে আসবে। কংগ্রেসের ‘গ্র্যান্ড স্টুপিড থট’ (জিএসটি) যে গরিবদের উপরেও ১৮ শতাংশ কর চাপাতে চায়। আর সিগারেট, মদ সস্তা করতে চায়। ওবিসি ভোট চায়, অথচ সংসদে ওবিসি বিলের বিরোধিতা করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy