প্রতীকী ছবি।
কমপিউটার ক্লাসে অশ্লীল ছবি দেখছিল নবম শ্রেণির ছাত্রটি। তা দেখেই এনপি চিনগাপ্পা নামে ওই ছাত্রটিকে বকাবকি করেছিলেন শিক্ষক।চিঠি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন তাকে। তার পরই কেমিস্ট্রি ল্যাবে ঢুকে রাসায়নিক খায় সে। কর্নাটকের সেনা স্কুলের ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
কর্নাটকের কোদাগু সৈনিক স্কুলের শৌচাগার থেকে গত ২৩ জুন ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। তার পরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। খতিয়ে দেখা হয় স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ।
মঙ্গলবার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানান, স্যর বকাবকি করার পরই কেমিস্ট্রি ল্যাবে চলে গিয়েছিল ছাত্রটি। সেখানে সে কোনও একটি রাসায়নিক পান করে।এর পর সোজা চলে যায় শৌচাগারে। ভিতর থেকে শৌচাগারের দরজাও বন্ধ করে দেয় সে। ঘটনাটি ঘটে দুপুর দেড়টা নাগাদ। পরে শৌচাগার থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বছর পনেরোর ছাত্রটিকে।
আরও পড়ুন: ফের শৌচাগারে ছাত্রের দেহ উদ্ধার, এবার কর্নাটকের সেনা স্কুলে
সকলের নজর এড়িয়ে কী করে ছাত্রটি কেমিস্ট্রি ল্যাবে ঢুকল, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ছুটি পেতেই স্কুলে খুন? তেমনই বলেছে ভদোদরার ক্লাস টেনের ছাত্র
অন্যদিকে, এ দিনও ফের মৃত্যুর ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রের বাবা। মৃত ছাত্রের বাবা নগেন্দ্র টি পোভাইয়ার দাবি, বিকেল চারটে নাগাদ স্কুলে রুটিন মাফিক রোল কল করার সময়ও তাঁর ছেলে অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু, বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই স্কুলেরই হকি কোচ তথা মৃত ছাত্রের বাবা নগেন্দ্রর দাবি, সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ তিনি প্রত্যেকের উপস্থিতি দেখার সময়ই এনপি চিনগাপ্পার অনুপস্থিতি বিষয়টি নজরে আসে। তার পরই শুরু হয় খোঁজাখুজি। তখনই শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রটিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy