Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Bridge Collapse

জোরে বাতাস! ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ, অল্পের জন্য বাঁচলেন বাসে সওয়ার ৬৫ জন বরযাত্রী

পঞ্চায়েত প্রধান রাও জানিয়েছেন, ওই ঠিকাদার ভেমুলাওয়াড়ায় একটি সেতু তৈরি করিয়েছিলেন। ২০২১ সালে বন্যায় সেটি ভেঙে পড়েছিল।

image of bridge

ভেঙে পড়েছে সেতুর একাংশ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৯
Share: Save:

আট বছর ধরে তৈরি হচ্ছিল সেতু। সেই নির্মীয়মাণ সেতুরই একাংশ ভেঙে গেল। সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ভেঙে পড়ে সেতুটি। স্থানীয়দের দাবি, সে সময় জোরে হাওয়া দিচ্ছিল। একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন বরযাত্রীরা। ঘটনার এক মিনিট আগেই সেতুর সামনে দিয়ে গিয়েছিল বরযাত্রীদের বাসটি।

সেতুর দু’টি স্তম্ভের উপর ছিল পাঁচটি কংক্রিটের গার্ডার (পাত)। মনে করা হচ্ছে, তীব্র হাওয়ার কারণে দু’টি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাকি তিনটি যে কোনও সময় ভেঙে পড়বে। সেতু থেকে ৬০০ মিটার দূরে রয়েছে ওদেদু গ্রাম। সেই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীকোণ্ডা বাক্কা রাও জানিয়েছেন, ৬৫ জন বরযাত্রীকে নিয়ে একটি বাস সেতুর সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। বাসটি চলে যাওয়ার এক মিনিট পরেই ভেঙে পড়ে সেতুটি।

২০১৬ সালে সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন তেলঙ্গানার তৎকালীন স্পিকার এস মধুসূদন চারি এবং স্থানীয় বিধায়ক পুত্তা মধু। মানাইর নদীর উপর রয়েছে এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু। এটি তৈরির জন্য ২০১৬ সালে ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেতুটির নির্মাণ এক বছরের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কাজ শেষ হলে মান্থানি, পারাকাল, জাম্মিকুন্টা শহরের মধ্যে দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার কমে যেত। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, এক বছরের মধ্যেই নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন ঠিকাদার। তিনি দাবি করেন, সরকার টাকা দেয়নি। পঞ্চায়েত প্রধান রাও জানিয়েছেন, ওই ঠিকাদার ভেমুলাওয়াড়ায় একটি সেতু তৈরি করিয়েছিলেন। ২০২১ সালে বন্যায় সেটি ভেঙে পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ রাও জানিয়েছেন, গত বছর আরও ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয় প্রকল্পে। তার পরেও সেতুর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি। স্থানীয়দের ভোগান্তিও কমেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Collapse Telangana
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE