Advertisement
২৬ মার্চ ২০২৩
Brij Bhushan Sharan Singh

কুস্তিপ্রিয় ব্রিজভূষণ এ বার যৌন হেনস্থার প্যাঁচে! ছ’বারের সাংসদকে ‘শরণ’ দেবে বিজেপি?

৬ বারের সাংসদ ব্রিজভূষণ গত এক যুগ ধরে জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি পদে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে দিল্লিতে ধর্নায় বসেছেন কুস্তিগিরেরা।

অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরন সিংহ।

অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরন সিংহ। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৬
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে একদা তাঁকে বলা হত মুলায়ম সিংহ যাদবের উত্তরসূরি! লোহিয়াপন্থী সমাজবাদী আদর্শ অনুসরণের জন্য নয়, সমান্তরাল ভাবে কুস্তির আখড়া আর রাজনীতির ময়দানে যুৎসই প্যাঁচ মারার দক্ষতার জন্য। অতীতে একাধিক বার হাঙ্গামা, মারধরের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের সেই বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে এ বার অভিযোগ কমনওয়েলথ কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার।

Advertisement

৬ বারের বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি পদে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে লখনউয়ের কুস্তি শিবিরে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে অভিযোগ নিয়ে বুধবার থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন দেশের নামী কুস্তিগিরেরা। এই ঘটনার জেরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। অভিযোগের বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে ব্রিজভূষণের কাছে। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে শীর্ষনেতৃত্ব তাঁকে ছেঁটে ফেলতে পারেন।

আশির দশকে বিজেপির পতাকা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন ব্রিজভূষণ। মাঝে কিছু দিন ছিলেন সমাজবাদী পার্টিতেও। ১৯৯১ সালে লোকসভা নির্বাচনে গোন্ডা থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু বিতর্কের কারণে ১৯৯৬ সালে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। গোন্ডায় বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জেতেন ব্রিজভূষণের স্ত্রী কেতকী দেবী। ১৯৯৯ সালে আবার বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন ব্রিজভূষণ।

২০০৪-এর লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর থেকে ব্রিজভূষণকে প্রার্থী করেছিল পদ্ম-শিবির। জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৯-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে সামিল হন। মুলায়ম-অখিলেশের দলের প্রার্থী হয়ে জেতেন কৈসরগঞ্জ আসনে। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে ফের দলবদল। বিজেপিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয় ব্রিজভূষণের। কৈসরগঞ্জ থেকেই ২০১৪ এবং ২০১৯-এ বিজেপির টিকিটে জেতেন তিনি। ২০১১ সালে ইউপিএ সরকারের জমানাতেই জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। এ বার সেই পদই ‘গলার কাঁটা’ হল তাঁর।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.