স্বামী হাজতে। তাঁকে ছাড়ানোর বন্দোবস্ত করতেই দেওরের শরণাপণ্ণ হয়েছিলেন বৌদি। সেই সুযোগে তরুণীকে ধর্ষণ করলেন দেওর এবং তাঁর সঙ্গীরা! শুধু তা-ই নয়, ৩১ ঘণ্টা ধরে অত্যাচার চলেছে ওই তরুণীর উপর। যার জেরে বার দুয়েক জ্ঞানও হারিয়েছিলেন তরুণী। তবে সুযোগ পেতেই কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। মহারাষ্ট্রে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত দেওর এখনও পলাতক।
নাসিকের পঞ্চবটীতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে পরের দিন অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩১ ঘণ্টা ধরে তরুণীর উপর অত্যাচার চলেছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সেই সময় তিনি নাবালিকা ছিলেন। তাঁর পরিবারের লোকেরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করায় স্বামী গ্রেফতার হন। সেই সময় দেওরই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্বামীকে জেল থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করার কথা বলেন তিনি। সেইমতো দেওরের সঙ্গে দেখা করতে নাসিকে গিয়েছিলেন তরুণী।
অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানিয়েছেন, নাসিকে পৌঁছনো মাত্রই দেওর ও তাঁর সঙ্গীকে তাঁকে পঞ্চবটীর একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। সেই সঙ্গেই চলতে থাকে গণধর্ষণ! যার ফলে জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি। পরের দিন সকালে যখন তাঁর জ্ঞান ফেরে, তখন হাঁটতে পারছিলেন না তরুণী। কথাও বলতে পারছিলেন না। পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তাঁকে আবার মারধর করা হয়। ফলে আবার জ্ঞান হারান। এর পর বিকেল ৫টা নাগাদ যখন তাঁর জ্ঞান ফেরে, তিনি দেখেন, দেওর ও তাঁর সঙ্গীরা মদ্যপান করছেন। সেই সময় কোনও ক্রমে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই তরুণী।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে দেওরের দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় আরও দু’জন জড়িত বলে তাঁরা মনে করছেন। দেওরের পাশাপাশি তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০(১) (গণধর্ষণ), ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৯ (প্রতারণা করে যৌন সঙ্গম), ৭৪ (মহিলার উপর অত্যাচার), ১১৫ (২) (হামলা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।