উদ্ধার হওয়া ফোন। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বুলন্দশহর কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। এতদিনে হদিশ মিলল নিহত পুলিশ ইন্সপেক্টরের মোবাইল ফোনটির। তাও আবার মূল অভিযুক্তের বাড়ি থেকেই। সবমিলিয়ে মোট ছ’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে।
গত ২৮ ডিসেম্বর বুলন্দশহর-নয়ডা সীমান্ত থেকে প্রশান্ত নাটকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইন্সপেক্টর সুবোধকুমার সিংহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।শনিবার রাতে বুলন্দশহরে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। সেখানেই উদ্ধার হয় সুবোধ কুমারের ‘ক্লোজড ইউজার গ্রুপ’(সিইউজি) মোবাইল ফোনটি। সরকারি কাজেই ওই বিশেষ ফোনটি ব্যবহার করতেন তিনি, যার মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
বুলন্দশহরের পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতুল শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘সুবোধ কুমার সিংহের মোবাইল ফোনটি কোথায় থাকতে পারে, গোপনসূত্রে সেই সংক্রান্ত খবর মিলেছিল। সেইমতো স্থানীয় আদালতের অনুমতি নিই। তার পর গতরাতে তল্লাশি চালানো হয়। সিইউজি ফোনটি সমেত মোট ছ’টি ফোন উদ্ধার হয়েছে। তবে পিস্তলটির হদিশ মেলেনি এখনও পর্যন্ত।’’
বিক্ষোভকারীদের হাতে নিহত সুবোধ কুমার সিংহ।—ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: বিদেশে চাকরির টোপ দিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা নিউটাউনে
আরও পড়ুন: লটারির নামে প্রতারণা, রাজ্য থেকে হাওয়ালাতে টাকা যাচ্ছে পাকিস্তানে, ধৃত দুই শিল্পকর্তা
গোহত্যার গুজব ঘিরে গতবছর ৩ ডিসেম্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় সিয়ানা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার সুবোধকুমার সিংহ এবং স্থানীয় যুবক সুমিতকুমারের। গোটা ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তার পর শুরু হয় তদন্ত। গ্রেফতার হওয়ার পর জেরায় প্রশান্ত নাট অপরাধ কবুল করে নেয় বলে দাবি পুলিশের। ১ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় তার সঙ্গী কালুয়াকেও। কুড়ুল নিয়ে সুবোধ কুমার সিংহের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে। কেটে নিয়েছিল হাতের আঙুল। কুড়ুলের হাতল দিয়ে মাথাও থেঁতলে দিয়েছিল।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy