Advertisement
E-Paper

কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন অব্যাহত, ভারতে থাকা ৪১ জন কূটনীতিককে সরিয়ে নিল কানাডা

‘কূটনৈতিক ভারসাম্য’ রক্ষার জন্য ভারতে থাকা কানাডার কূটনীতিকদের সরানোর জন্য কানাডাকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। তার পরই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৫১
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। (ডান দিকে) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ফাইল চিত্র।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। (ডান দিকে) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ফাইল চিত্র।

খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। আর সেই সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে কানাডা এবং ভারতের মধ্যে। নিজ্জরের হত্যায় ভারতের দিকে কানাডা অভিযোগের আঙুল তোলার পর থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। সেই টানাপড়েন এখনও অব্যাহত।

আর সেই টানাপড়েনের জেরে এ বার ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে সরিয়ে নিল কানাডা। এই কূটনীতিকদের পরিবারের ৪২ জন সদস্যকেও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে ভারত থেকে তাদের কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে কানাডার বিদেশ মন্ত্রক। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রী মেলানি জোলি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ভারত সরকার জানিয়েছে, এখান থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে ২০ অক্টোবরের মধ্যে। আর তার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” একই সঙ্গে জোলি জানিয়েছেন, চণ্ডীগড়, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে কানাডার যে দূতাবাস রয়েছে, সেগুলির কাজ আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। যে ভাবে কূটনীতিকদের সরানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে আরও প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জোলি।

বুধবার তিনি জানিয়েছিলেন, নয়াদিল্লি যে ভাবে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে, তা শুধু নজিরবিহীনই নয়, আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, নিজ্জর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত। ‘কূটনৈতিক ভারসাম্য’ রক্ষার জন্য ভারতে থাকা কানাডার কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। আর তার পরই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার ভূমিকা ছিল বলে কানাডার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। হরদীপের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কার্যত ভারতকে নিশানা করেছিলেন তিনি। তিনি এ-ও দাবি করেন যে, বিষয়টি নিয়ে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন তাঁর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও কথা হয়েছে। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করেছে ভারত। ভারতের দাবি, ট্রুডোর অভিযোগ ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত’। ট্রুডোর ওই বিবৃতির পরে কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারও করা হয়। পাল্টা নয়াদিল্লিও কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত করে।

diplomatic relationship India canada
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy