প্রতীকী ছবি।
নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ আধুনিকীকরণ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার চক্রের হদিশ পেল সিবিআই। ওই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে নৌসেনার এক কর্মরত এবং দু’জন প্রাক্তন অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, নৌবাহিনীর রুশ ডুবোজাহাজগুলি আধুনিকীকরণ প্রকল্পের বেশ কিছু ‘স্পর্শকাতর’ নথি পাচারের সঙ্গে ধৃতেরা জড়িত। ধৃত কর্মরত নৌসেনা আধিকারিক কমান্ডার পর্যায়ের অফিসার। তাঁকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দু’জনের প্রাক্তন নৌ-আধিকারিকের মধ্যে রয়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত কমোডর।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নৌসেনার তরফেও ইতিমধ্যেই তথ্য পাচারের অভিযোগের ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল পর্যায়ের এক আধিকারিক।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ডুবোজাহাজের কার্যকারিতা নির্ভর করে শত্রুর নজর ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতার উপর। জলের তলায় ডুবোজাহাজ কোন কম্পাঙ্কের কতখানি শব্দ করছে, কোন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে তথ্য আদানপ্রদান করছে, তা জানা হয়ে গেলে ডুবোজাহাজকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করার সুযোগ পেয়ে যায় শত্রু।
তবে রাশিয়া থেকে কেনা ভারতীয় নৌসেনার ডুবোজাহাজগুলির ঠিক কী কী তথ্য ফাঁস হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে ফ্রান্স থেকে কেনা স্করপেন গোত্রের ছ’টি ডুবোজাহাজের ক্ষেত্রেও নৌবাহিনীর ‘ওয়ার রুম’ থেকে ‘স্পর্শকাতর তথ্য’ পাচারের অভিযোগ উঠেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy