হাজিরা: আদালতে লালু। বুধবার রাঁচীতে। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী
সকাল সকাল স্নান-পুজো সেরে প্রাতরাশে ‘চূড়া-দহি’ খেয়ে তৈরি হয়ে যান আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রাঁচীর বিরসা মুণ্ডা জেল থেকে তাঁকে সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দুই আইনজীবীর মৃত্যুতে আদালতের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর ট্রেজারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া লালুপ্রসাদের আজ আর সাজা শোনা হল না। তবে আদালতের কাজ মুলতুবি হওয়ার আগে বিচারক শিবপাল সিংহ তাঁর পুত্র তেজস্বী ও দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস জারি করায় কিছুটা ঘাবড়ে যান তিনি। আদালতে বসেই স্বগতোক্তি করতে শোনা যায় তাঁকে, ‘‘ফির সে কেয়া মুসিবত আ গয়া!’’ জানা যায়, লালুকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পর তেজস্বী যাদব, রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ, শিবানন্দ তিওয়ারি ও দলের মুখপাত্র মনীশ তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমে যা বক্তব্য রাখেন তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নোটিস। এই চার জনকেই ২৩ জানুয়ারি সশীরের রাঁচীর সিবিআই কোর্টে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ আদালত মুলতুবি হওয়ার আগে বিচারক জানান, আগামী কাল দুপুর দুটোয় তিনি এই মামলার সাজা শোনাবেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, বর্ণ-ক্রম অনুযায়ী প্রতিদিন চার জনের সাজা তিনি ঘোষণা করবেন। ‘এল’-বর্ণের লালুর দিন কাল পড়বে বলে মনে করেন না আইনজীবীরা। পরশু অথবা তার পরের দিন আরজেডি প্রধানের সাজা ঘোষণা করা হবে বলেই তাঁদের ধারণা।
এ দিন লালুকে নিয়ে পুলিশ আদালতে পৌঁছে আরজেডি সমর্থকদের ভিড়ে খানিকটা নাস্তানাবুদ হয়। যদিও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে লালু তাঁর সমর্থকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর চিরাচরিত ঢঙে বলেন, ‘‘বছরের প্রথম দিনটা জেলে ভালই কেটেছে। চাঙ্গাহি হ্যায়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy