ঘটনাস্থল মুম্বই। শুক্রবারের দুপুর। তথ্য ফাঁস কাণ্ডে ধৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট খেমচন্দ গাঁধীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। অর্থ মন্ত্রক থেকে চুরি করা গোপন নথি উদ্ধার হচ্ছে। সেই সময়েই খেমচন্দের নামে দিল্লি থেকে ক্যুরিয়রে একটি প্যাকেট এল। প্যাকেট খুলে সিবিআইয়ের অফিসাররা হতবাক। তার মধ্যেও রয়েছে অর্থ মন্ত্রকের গোপন নথি। পাঠিয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের এক অফিসারই।
অর্থ মন্ত্রক থেকে চুরি হওয়া গোপন নথি কর্পোরেট সংস্থাগুলির কাছে পাচার হয়ে যাওয়ার রহস্যের তদন্তে নেমে সিবিআই গত কালই খেমচন্দ ও অর্থ মন্ত্রকের দুই অফিসারকে গ্রেফতার করেছিল। সিবিআই কর্তারা মনে করছেন, কর্পোরেট চরবৃত্তির এই চক্রে আরও রাঘববোয়াল জড়িত। এর মধ্যে যেমন অর্থ মন্ত্রকের অফিসার রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রকের অফিসারও। আরও বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালানো হবে।
কর্পোরেট চরবৃত্তি নিয়ে দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সিবিআই মনে করছে, কর্পোরেট চরবৃত্তির এই চক্রটি আরও বড়। মন্ত্রকের কর্তারাই সরাসরি গোপন নথি পাচার করে দিতেন মুম্বইয়ের ওই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট খেমচন্দের কাছে। তার পর খেমচন্দ তা কর্পোরেট সংস্থাগুলির কাছে বিক্রি করতেন। এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্ক, নির্মাণ ক্ষেত্র, ওষুধ শিল্প ক্ষেত্রের আটটি কর্পোরেট সংস্থার নাম প্রকাশ্যে এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে ডিএলএফ, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের মতো সংস্থাও। ডিএলএফ, এইচডিএফসি-র তরফ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দু’টি সংস্থাই জানিয়েছে, তারা কোনও বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। কোনও গোপন সরকারি নথি তারা কারও কাছ থেকে কেনেনি। এ সবই সংস্থার বদনাম করার চেষ্টা।