Advertisement
E-Paper

টু-জি কাণ্ডে টাটা-ইউনিটেক চুক্তি খতিয়ে দেখছে সিবিআই

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে নয়া মোড়। সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় এ বার টাটা সংস্থার সঙ্গে ইউনিটেকের ১৭০০ কোটির চুক্তি। সাত বছর আগে টাটা রিয়ালটির সঙ্গে ইউনিটেকের জমি লেনদেন সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। টাটাদের থেকে ১৭০০ কোটি টাকা পায় ইউনিটেক। টাটাদের তরফে ইউনিটেক-কে সেই টাকা আসলে টু-জি স্পেকট্রাম লাইসেন্স আদায় করার জন্য দেওয়া হয়েছিল কি না, তারই তদন্ত করবে সিবিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৪ ০৩:০৮

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে নয়া মোড়। সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় এ বার টাটা সংস্থার সঙ্গে ইউনিটেকের ১৭০০ কোটির চুক্তি।

সাত বছর আগে টাটা রিয়ালটির সঙ্গে ইউনিটেকের জমি লেনদেন সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। টাটাদের থেকে ১৭০০ কোটি টাকা পায় ইউনিটেক। টাটাদের তরফে ইউনিটেক-কে সেই টাকা আসলে টু-জি স্পেকট্রাম লাইসেন্স আদায় করার জন্য দেওয়া হয়েছিল কি না, তারই তদন্ত করবে সিবিআই। একই ভাবে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে টাটা টেলি সার্ভিসেসকে যে ডুয়াল টেকনোলজি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা নিয়ম মেনে হয়েছিল কি না, তারও তদন্ত করবে সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে এ কথা জানানো হয়েছে।

কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ জালিয়াতি তদন্ত সংস্থা (এসএফআইও) গত বছর টাটার সঙ্গে ইউনিটেকের ওই জমির লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। জমির নামে টাকার লেনদেন হলেও আসলে তা ইউনিটেক-কে মোবাইল পরিষেবার লাইসেন্স জোগাড়ের জন্য দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এসএফআইও। এসএফআইও-র রিপোর্টও খতিয়ে দেখবে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এক শীর্ষকর্তা আজ বলেন, “বিষয়টির আরও তদন্ত প্রয়োজন।”

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি নিয়ে জনস্বার্থে মামলাকারী প্রশান্ত ভূষণের অভিযোগ ছিল, কর্পোরেট জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ নীরা রাডিয়ার মোবাইলে আড়ি পেতে পাওয়া কথোপকথনের তদন্ত করেছিল এসএফআইও। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইউনিটেকের হাতে ১৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকাই ইউনিটেক টু-জি স্পেকট্রামের লাইসেন্সের ফি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে। ১,৬৫১ কোটি টাকায় লাইসেন্স কিনে তা টেলিনর-এর কাছে ৬,২১০ কোটি টাকায় বিক্রি করে ইউনিটেক। মুনাফার অর্থ টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ ছিল, যে ভাবে এসার-এর সংস্থা লুপ-কে সামনে রেখে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স টেলিকম লাইসেন্স আদায় করেছিল, একই ভাবে ইউনিটেক টাটা-দের হয়ে সামনে ছিল।

টু-জি স্পেকট্রাম দুর্নীতির তদন্তে তৈরি দল থেকে সিবিআইয়ের ডিআইজি সন্তোষ রাস্তোগিকে বদলি করা হয়েছিল। কোর্টের তিরষ্কারের মুখে পড়ে রাস্তোগিকে ওই দলেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।

tata unitech 2g probe cbi scam national latest news Tata Tele services money
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy