সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানোর অভিযোগ অনেক দিন ধরেই তুলছেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগ ফের উস্কে দিয়েই ‘যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’-র জমি কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, মায়াবতীকে চাপে রাখতেই যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত। কারণ, মায়াবতীর সময়েই যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি হয়েছিল। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মায়াবতী মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে মথুরার সাতটি গ্রামের প্রায় ৫৮ হেক্টর জমি কেনা হয়। কিন্তু ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে কেনা হয়েছিল ওই জমিগুলি। তাতে সরকারের ১২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ। সংস্থার তৎকালীন সিইও পি সি গুপ্ত নিজেই এই দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন।
কালই মোদী সরকার জানায়, ফেসবুক থেকে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার তথ্য চুরি ও তা ভোটের কাজে ব্যবহারের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থা ভোটের কাজে রাহুল গাঁধীকে সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ। ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধেও সিবিআই মামলা দায়ের করেছে। জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ পদে থাকার সময়ে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।