বিরোধীরা যখন অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে সরব, তখন আজ চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) অনিল চৌহান জানালেন, অপারেশন সিঁদুর এখনও চালু রয়েছে। ভারতের প্রস্তুতি তুঙ্গে রয়েছে। তবে কোথায়, কী ভাবে অপারেশন চলছে তার ব্যাখ্যা দেননি ওই সেনাকর্তা। পাশাপাশি আজ লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সাম্প্রতিক সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা ছিল না বলে জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রের দাবি, সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই এসেছিল।
পহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তা যাতে পরমাণু যুদ্ধে না গড়ায় সে জন্য তিনি হস্তক্ষেপ করে ওই সংঘর্ষ বন্ধ করেন বলে সে সময়ে দাবি করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক বার একাধিক মঞ্চে তিনি ওই দাবি করেন। সত্যিই কি ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কারণে সংঘর্ষবিরতি হয়েছিল, সেই সংঘর্ষবিরতির পরিবর্তে আমেরিকা কি ভারতের উপরে বাণিজ্যিক শর্ত চাপিয়েছিল, তা নিয়ে সরকারের কাছে জানতে চান ডিএমকের সাংসদেরা এবং তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ মালা রায় ও দেব। আজ তার উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ লিখিত উত্তরে জানান, গত ১০ মে দু’দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন (ডিজিএমও)-এর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পরে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা হয়। (সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব জানিয়ে) ওই যোগাযোগ প্রথমে পাকিস্তান করেছিল। সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার আগেই ৮ মে হামলা চালিয়ে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল।
তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রশ্নে কেন্দ্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাই হবে। এটিই ভারতের দীর্ঘ দিনের অবস্থান। এই বিষয়টি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট-সহ সব দেশকেই স্পষ্ট জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্যিক শর্ত চাপানোর বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সকে ৯ মে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যে পাকিস্তান যদি বড় মাপের হামলা চালায় সে ক্ষেত্রে ভারত তার যোগ্য জবাব দেবে। সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার মধ্যে বাণিজ্যনিয়ে কথাবার্তার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)