তোড়জোড় শুরু হয়েছিল আগেই। প্রায় বছর পাঁচেক ধরে রাজ্যে সে ভাবে বড় মাপের মাওবাদী নাশকতা না হওয়ায় বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বীরভূমকে মাওবাদী অধ্যুষিত জেলার তালিকা থেকে বাদ দিল কেন্দ্র। দেশের ৯০টি মাওবাদী অধ্যুষিত জেলার মধ্যে রয়ে গেল কেবল ঝাড়গ্রাম।
কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্ত রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির প্রশ্নে সিলমোহর বসালেও, এতে কেন্দ্রীয় সাহায্যের প্রশ্নে বরাদ্দ আরও কমতে চলেছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দেশের ১০৬টি নকশাল অধ্যুষিত জেলার পরিকাঠামো উন্নয়নে নিরাপত্তা খাতে অর্থ (এসআরই) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মাওবাদী এলাকাগুলিতে থানা আধুনিকীকরণ, অত্যাধুনিক হাতিয়ার ছাড়াও ফোনের টাওয়ার বসানো, সড়ক নির্মাণের মতো ক্ষেত্রগুলিতে অর্থ দিয়ে সাহায্য করে থাকত কেন্দ্র। কিন্তু এখন ওই তালিকা থেকে রাজ্যের জেলাগুলি সরে যাওয়ায় ওই খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আগের চেয়ে কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র।
শুধু আর্থিক দিক থেকেই ক্ষতি নয়, বর্তমানে রাজ্যে মাওবাদী সমস্যা দমনে যে সংখ্যক আধাসেনা মোতায়েন রয়েছে তার একটি বড় অংশকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেই মনে করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। তাঁদের এক জনের কথায়, ‘‘মাওবাদী দমনের জন্য আধাসেনা পাঠানো হয়েছে রাজ্যে। এখন রাজ্য যদি মাওবাদী অধ্যুষিত তালিকা থেকেই বাদ যায় তা হলে সেখানে তাদের রাখা অর্থহীন। যে রাজ্যে আধাসেনা প্রয়োজন সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে আধাসেনা পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy