জাতীয় পতাকায় মোড়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দেহ। ছবি: এপি।
রাজঘাট, শান্তিবন, শক্তিস্থল, বীরভূমি চত্বরেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্য স্মারক তৈরি করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
সরকারি ভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু যমুনা নদীর ধারে, লাল কেল্লার পাশে ওই এলাকায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মারক তৈরি করতে হলে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারেরই সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে মোদী সরকারকে।
২০০০ সালে বাজপেয়ী সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীদের জন্য আর নতুন কোনও স্মারক তৈরি হবে না। কারণ এই সব স্মারকের জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ২৪৫ একর জমি আটকে রয়েছে। তার বদলে প্রাক্তন বা বর্তমান রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্যের জন্য পৃথক একটি স্থান তৈরি হবে। ২০১৩ সালে সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই মনমোহন সরকার ‘রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থল’ তৈরি করে। ঠিক হয়, অন্তিম সংস্কারের পরে প্রয়াত রাষ্ট্রনেতাদের নামফলক লাগিয়ে ওখানেই স্মারক তৈরি হবে। আজ সেখানেই বাজপেয়ীর শেষকৃত্য হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলের কিছুটা জমি বা লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্মৃতি-সমাধি বিজয়ঘাটের পাশে দেড় একর জমিতে বাজপেয়ীর স্মারক তৈরি হতে পারে। কিন্তু সে জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে পুরনো মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বদল করতে হবে। খাস লাটিয়েন্স দিল্লিতে যে সব সরকারি বাংলো রয়েছে, সেখানেও বাজপেয়ীর স্মারক করা যেত। বিশেষ করে কৃষ্ণ মেনন মার্গে বাজপেয়ীর এত দিনের বাসভবনটিই স্মারক হিসেবে তৈরির প্রস্তাবও রয়েছে। কিন্তু সেখানেও মোদী সরকারের সামনে বাধা হল, সরকার নিজেই এই বাংলোগুলিকে স্মারকে বদলানো যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর স্মারক রাজঘাটের পাশে জওহরলাল নেহরুর শান্তিবন, ইন্দিরা গাঁধীর শক্তিস্থল, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর বিজয়ঘাট, চৌধুরী চরণ সিংহর কিসানঘাট আগেই ছিল। পরে চন্দ্রশেখর, ইন্দ্রকুমার গুজরাল, পি ভি নরসিংহ রাওয়ের স্মারক একতাস্থলে তৈরি হয়। বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহর স্মারক রয়েছে ইলাহাবাদে। আর মোরারজি দেশাইয়ের স্মারক গুজরাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy