এখনও বাকি রয়েছে পাঁচ দফার ভোট। তার মধ্যেই মাসুদ আজহারকে নিয়ে চিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিদেশসচিবকে সে দেশে পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মাসুদের মতো জঙ্গিকে নিয়ে তৎপরতার বিষয়টিকে ‘সাফল্যের বিজ্ঞাপন’ হিসেবে তুলে করতে সক্রিয় হয়েছে মোদী সরকার।
দেশ জুড়ে লোকসভা নির্বাচনের তুমুল প্রচারের মধ্যেই কিছুটা নিঃশব্দে বেজিং পাঠানো হচ্ছে বিদেশসচিব বিজয় গোখলেকে। আগামিকাল তিনি চিন যাচ্ছেন। সেখানে চিনের বিদেশমন্ত্রী এবং অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। চেষ্টা করা হবে, বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যেই যাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় মাসুদ আজহারকে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিতে চিন সায় দেয়।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই ধরনের প্রক্রিয়া সরকার তথা বিদেশ মন্ত্রকের নিয়মিত দায়িত্বের মধ্যেই থাকে। মাসুদকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করার জন্য চেষ্টার মধ্যেও নতুনত্ব কিছু নেই। এই চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। কিন্তু প্রশ্নটা এর সময় নিয়ে। দেশে লোকসভা ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকারের মেয়াদ শেষ। আর এক মাসের মধ্যে নির্বাচিত হবে নতুন সরকার। এই সময়ে আপৎকালীন কোনও বিষয় ছাড়া বিদেশনীতি সংক্রান্ত কোনও পদক্ষেপ সাধারণত করা হয় না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, মোদী সরকার চাইছে, যদি কোনও ভাবে আজহার প্রশ্নে বেজিংকে নরম করা যায়, তা হলে নির্বাচনী প্রচারে তাদের হাতে আরও একটা নতুন অস্ত্র আসবে। বিজেপি যে জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলতে চাইছে, তা আরও ধারালো করে তোলা যাবে বলেই মনে করছেন দলের একাংশ। তা ছাড়া চিনকে চাপ দেওয়ার প্রশ্নে এখন পরিস্থিতি ভারতের পক্ষে বেশ সুবিধাজনক। মাসুদ নিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স একই সঙ্গে চিনের উপর চাপ তৈরি করেছে। তার পাশাপাশি মাসুদকে নিয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ২৩ এপ্রিলের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রক এই সময়সীমার বিষয়টিকে প্রকাশ্যে গুরুত্ব না দিলেও জানিয়েছে যে, পাকিস্তানের জঙ্গি মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ তালিকায় আনার বিষয়টি তাদের বিবেচনাধীন রয়েছে। খুব শীঘ্রই সমাধানে পৌঁছনো যাবে বলেও জানিয়েছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক। সাউথ ব্লক আশাবাদী, এটাই মোক্ষম সময়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ভারতে লোকসভা ভোটের পর নতুন সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। জানিয়েছেন উহানের মত আরও এক সম্মেলনের প্রয়োজন রয়েছে। চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম’–এ ভারত যাতে অংশ নেয়, তার জন্যও আগ্রহ প্রকাশ
করছে বেজিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy