বর্ষপূর্তি আসন্ন। এই অবস্থায় সংস্কারের বিলগুলি সংসদে আটকে যাওয়ায় অধিবেশনের শেষ দিনে মরিয়া হয়ে উঠল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আজ সকালেই সংসদ শুরুর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত তো নেওয়া তো হয়েছেই, তার পরেও আজ দিনভর সংসদের দুই সভায় কেন্দ্রের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলগ্নিকরণ থেকে নতুন সামগ্রিক ইউরিয়া নীতি ঘোষণা হয়। ভর্তুকি কমানো ছাড়াও দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো এই নীতির লক্ষ্য। জাতীয় সড়ক নির্মাণের বাধা-বিপত্তি যাতে দূর হয়, সেই লক্ষ্যে পিপিপি-র হাত ধরে তৈরি প্রকল্পের দু’বছরের মধ্যে শেয়ার বিক্রির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। লোকসানের ভয়ে অনেক সংস্থাই সড়ক নির্মাণে এগিয়ে আসত না। পাশাপাশি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে ঋণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধারের জন্য একটি বিল গত কালই লোকসভায় পাশ হয়েছে। আজ সেটি রাজ্যসভাতেও পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। এ বার দেশের ভিতরেও কালো টাকা রোখার জন্য বেনামী লেনদেন বিল আজ সকালে মন্ত্রিসভায় এনে সন্ধ্যায় পেশ করা হয় লোকসভায়। শিল্পমহলকে বার্তা দেওয়ার জন্য কোম্পানি বিল ও নেগোশিয়েবল ইন্স্ট্রুমেন্ট বিলটিও আজ লোকসভায় এনেছে সরকার। হুইসল ব্লোয়ার প্রোটেকশন বিলটি বিরোধীরা সংসদের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর কথা বললেও তা পরোয়া না করেই বিলটি লোকসভায় পাশ করিয়ে নেয় সরকার। বিরোধিতায় সনিয়া-রাহুল গাঁধী-সহ গোটা কংগ্রেস শিবির সভাকক্ষ ত্যাগ করা সত্ত্বেও। পরে সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, ‘‘বিরোধীরা অভিযোগ করে, আমরা নাকি স্থায়ী কমিটিকে উপেক্ষা করি। কিন্তু মানুষের জন্য তড়িঘড়ি কাজ করা কি অপরাধ? বিরোধীরা বিল অহেতুক কমিটিতে পাঠানোর নামে উন্নয়নের গতিকেই স্তব্ধ করতে চায়।’’
অনেকের মতে, এক বছর পূর্তির আগে সাফল্যের তালিকা আরও দীর্ঘ করতে চায় সরকার। তাই সব ক’টি সংস্কারের বিল এ বারের অধিবেশনে পাশ করাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে জমি ও ও পণ্য-পরিষেবা বিলের মতো বড় সংস্কারের পদক্ষেপ আটকে গেল সংসদে। আজ অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ফের নতুন করে জমি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তার আগে স্কোরবোর্ডে যথাসম্ভব রান তুলে নিতে চাইল মোদী সরকার।