সুপ্রিম কোর্ট। -ফাইল চিত্র।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের চার প্রবীণতম বিচারপতির প্রকাশ্য বিদ্রোহ ঘোষণার পর এ বার এক বিচারপতির পদোন্নতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের বক্তব্য, ওই সুপারিশে ‘স্বচ্ছতার অভাব’ রয়েছে। ফলে, ওই সুপারিশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ বার কার্যত, মতবিরোধই হল শীর্ষ আদালতের।
পদোন্নতির জন্য যে দুই বিচারপতির নাম পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তার মধ্যে একটি নাম বৃহস্পতিবার পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। কেন্দ্রের আপত্তি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে এম জোসেফের নাম নিয়ে।
আইন মন্ত্রকের বক্তব্য, অনেক সিনিয়র বিচারপতিকে টপকে সুপ্রিম কোর্ট পদোন্নতির জন্য বিচারপতি জোসেফের নাম সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশের ক্ষেত্রে বিচারপতির যোগ্যতা যাচাইয়ের মাপকাঠিও মেনে চলা হয়নি।
দ্বিতীয় যে নামটি সুপ্রিম কোর্টের তরফে সুপারিশ করা হয়েছিল পদোন্নতির জন্য, সেই বিচারপতি ইন্দু মলহোত্রের নামটি গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন করেছে।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এ দিন এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও, তাঁর মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিচারপতিদের পদোন্নতির সুপারিশ করার অধিকার রয়েছে যাঁদের, সুপ্রিম কোর্টের সেই ৫ বিচারপতিকে নিয়ে গড়া কলেজিয়ামের কাছে কেন্দ্রের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘‘অনেক সিনিয়র ও যোগ্যতাসম্পন্ন বিচারপতি থাকা সত্ত্বেও, তাঁদের টপকে পদোন্নতির জন্য কেন বিচারপতি জোসেফের নামটি সুপারিশ করা হল’’।
বিচারপতি জোসেফের পদোন্নতির পথে কেন্দ্রের ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়ানোর মধ্যে যদিও ‘রাজনীতির গন্ধ’ খুঁজে পেয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘মোদী সরকারও কি আইনের ঊর্দ্ধে?’’
চিদম্বরমের অভিযোগ, ২০১৬ সালে উত্তরাখণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন বিচারপতি জোসেফ। তার ফলে, হরিশ রাওয়তের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছিল। বিচারপতি জোসেফের পদোন্নতির সুপারিশে সায় না দিয়ে তার প্রতিশোধ নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy