ফাইল চিত্র।
সামরিক বহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসারদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হল। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম।
এত দিন তিন সামরিক বাহিনীর অনেক অফিসারই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে, বিশেষত মিলিটারি বিষয়ক দফতরে অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্ম-সচিবের কাজ সামলাতেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়োগ এর আগে হয়নি। তার পিছনে আইএএস শিবিরের আপত্তিও অন্যতম কারণ বলে মনে করা হত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে তৈরি মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি সেনাবাহিনীর লেফটেনান্ট জেনারেল অনিল পুরীকে মিলিটারি বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেনার মেজর জেনারেল কে নারায়ণন, রিয়ার অ্যাডমিরাল কপিল মোহন ধীর, এয়ার ভাইস মার্শাল হরদীপ বৈঁসকে মিলিটারি বিষয়ক দফতরের যুগ্ম-সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকে এত দিন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবের দায়িত্বই সামলাচ্ছিলেন। যদিও আনুষ্ঠানিক নিয়োগ হয়নি।
সামরিক বাহিনীর সংস্কারের পথে হেঁটে গত বছরই মিলিটারি বিষয়ক দফতর বা ডিপার্টমেন্ট অব মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স তৈরি হয়েছিল। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পদও তৈরি হয়। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়তই ওই দফতরের সচিব হিসেবে কাজ করছেন। তিনিই প্রথম সামরিক অফিসার, যাঁকে সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিব পদে কোনও সামরিক অফিসারকে নিয়োগ করা হয়নি। এ বার তা হওয়ায় সামরিক অফিসারেরাই নিজেদের স্তরে ক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সব বিষয়ে জেনারেল রাওয়তের কাছে ফাইল পাঠাতে হবে না।
সামরিক কর্তারা মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে আখ্যা দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, এতে প্রশাসনিক লাল ফিতের ফাঁস কাটিয়ে সামরিক ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। মিলিটারি বিষয়ক দফতর বহু দিন ধরেই চাইছিল, উর্দিধারী অফিসারদের অতিরিক্ত বা যুগ্মসচিব পদে নিয়োগ করা হোক। এত দিন আইএএস ছাড়া অন্য কাউকে এই সব পদে নিয়োগ করা হত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy