E-Paper

প্রশাসনিক সীমানায় বদল নয় ৩১ ডিসেম্বরের পরে

২০২১-এ যে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল, মোদী সরকার ২০২৭-এ তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৭-এর ১ মার্চ জনগণনার দিন ঠিক হয়েছে। অর্থাৎ ওই দিনের প্রেক্ষিতেই দেশের জনসংখ্যা কত, তা বলা হবে।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ০৬:১৯

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গ্রাম, পুরসভা, ব্লক, মহকুমা হোক বা জেলা— জনগণনার জন্য চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আর কোনও প্রশাসনিক সীমানা রদবদল করা যাবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০২৭-এ জনগণনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সরেজমিনে তার কাজ শুরু করতে রেজিস্ট্রার জেনারেল তথা জনগণনা কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন, ২০২৫-এর ৩১ ডিসেম্বর থেকে সমস্ত প্রশাসনিক সীমানা ‘ফ্রিজ়’ করে দিতে হবে।

২০২১-এ যে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল, মোদী সরকার ২০২৭-এ তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৭-এর ১ মার্চ জনগণনার দিন ঠিক হয়েছে। অর্থাৎ ওই দিনের প্রেক্ষিতেই দেশের জনসংখ্যা কত, তা বলা হবে। জনগণনার কাজ দু’দফায় হবে। প্রথমে ২০২৬-এর ১ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর অবধি বাড়ির তালিকা তৈরি বা ‘হাউস লিস্টিং’-এর কাজ হবে। তার পরে ২০২৭-এর ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত গণনার কাজ হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা-র আগে জনগণনার কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার ঠিক পরে ১ মার্চ ভোররাত ১২টাকে জনগণনার দিনক্ষণ হিসেবে ধরা হবে।

রেজিস্ট্রার জেনারেল তথা জনগণনা কমিশনার ২৭ জুন চিঠি লিখে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের জানিয়েছেন, জনগণনা থেকে যাতে কেউ বাদ না যায়, তার জন্য গ্রাম ও শহরগুলিকে সমান মাপের ‘গণনা ব্লক’-এ ভাগ করে দিতে হবে। এই প্রতিটি গণনা ব্লকের দায়িত্ব এক জন গণনাকারীকে দেওয়া হবে। যাতে কেউ বাদ না যান এবং এক জনের তথ্য একাধিক বার গণনার মধ্যে না আসে। তাই এই গণনা ব্লক চিহ্নিত করার পরে জনগণনার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক সীমানার রদবদল করা যাবে না। ২০২৫-এর ৩১ ডিসেম্বর সীমানা ‘ফ্রিজ়’ করে দেওয়া হবে। ২০১৬-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৭-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোনও প্রশাসনিক সীমানার রদবদল করা যাবে না।

জনগণনা কমিশনার রাজ্যের মুখ্যসচিবদের বলেছেন, কোনও পুরসভা, গ্রাম, ব্লক বা তহসিল, মহকুমা, জেলার প্রশাসনিক সীমানা বদলের প্রস্তাব থাকলে তা ৩১ ডিসেম্বরের আগে সেরে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে রাজ্যের জনগণনা ডিরেক্টরেট ও কেন্দ্রীয় রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানাতে হবে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে, সমন্বয় রেখেই ২০২৬-এর ১ এপ্রিল থেকে বাড়ির তালিকা তৈরির কাজ শুরুর আগে গণনাকারী, তাঁদের তত্ত্বাবধায়ক বা সুপারভাইজ়ার নিয়োগ করা ও তাঁদের মধ্যে কাজ বণ্টন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন জনগণনা কমিশনার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Census Central Government

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy