Advertisement
E-Paper

প্রচারে শুধুই করোনা, বিপাকে বিরোধীরা

এমনকি তলানিতে ঠেকা বৃদ্ধির হার, চড়া বেকারত্ব সমেত দেশীয় অর্থনীতির যাবতীয় সমস্যার দায়ও এখন করোনাভাইরাসের ত্রাসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ০৩:৩২
রাহুল গাঁধী।

রাহুল গাঁধী।

দিল্লির সংঘর্ষে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা আপাতত পিছনের সারিতে।

সিএএ-এনসিআর-এনপিআর বিরোধী আন্দোলন থেকেও প্রচারের আলো সরে গিয়েছে।

এমনকি তলানিতে ঠেকা বৃদ্ধির হার, চড়া বেকারত্ব সমেত দেশীয় অর্থনীতির যাবতীয় সমস্যার দায়ও এখন করোনাভাইরাসের ত্রাসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।

সব মিলিয়ে, বিশ্ব জুড়ে করোনার দাপট যে ভাবে একাই যাবতীয় প্রচার শুষে নিয়েছে, তাতে আক্ষরিক অর্থেই মাথায় হাত বিরোধীদের। কারণ, বিভিন্ন বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের যে সমস্ত ব্যর্থতা তাঁরা সামনে আনছিলেন, যে সব বিষয়ে দানা বাঁধছিল প্রতিরোধ, সেই সমস্তই এখন করোনার ত্রাসে পিছনে চলে গিয়েছে বলে আক্ষেপ করছেন তাঁরা।

এরই মধ্যে করোনা প্রতিরোধে সরকার যথেষ্ট সক্রিয় হয়নি বলে অভিযোগ তোলার চেষ্টা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। কিন্তু যে সঙ্কটে সারা পৃথিবী বিপর্যস্ত, দেশ টালমাটাল, তাকে ঘিরে কতখানি আর আক্রমণ শানিয়ে যাওয়া যায় নিয়মিত? তাতে রাজনৈতিক লাভ কতখানি? আর শেষমেশ তা করলেও এই ঘোর সঙ্কটে সরকারের পাশে না-দাঁড়ানোর পাল্টা অভিযোগ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের।

দিল্লি সংঘর্ষের পরে সিএএ-এনআরসি নিয়ে সরকারের উপরে তৈরি হওয়া প্রবল চাপ করোনা অনেকখানিই হাল্কা করে দিয়েছে বলে বিরোধীদের আক্ষেপ। ঠিক যে ভাবে অর্থনীতি নিয়ে ঘোর বিপাকে পড়া মোদী সরকারই এখন বলার সুযোগ পাচ্ছে যে, ঝিমুনি
কাটিয়ে প্রাণ ফেরার সমস্ত লক্ষণই না কি দেশীয় অর্থনীতিতে স্পষ্ট। কিন্তু তাতে বাধ সাধছে করোনার প্রকোপ। বিরোধীদের আশঙ্কা, এর পরে তলানিতে ঠেকা বৃদ্ধি থেকে চড়া বেকারত্ব— অর্থনীতির যাবতীয় অসুখই করোনাভাইরাসের ঘাড়ে ঠেলে দেবে মোদী সরকার।

Coronavirus India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy