—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের জেরে হাঁড়ির হাল ভাঁড়ারের। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যগুলিকে বিনা শর্তে বাড়তি ঋণ নেওয়ার সুবিধা দিতে জোরালো দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও শর্তহীন ঋণের ছাড়পত্র দিতে নারাজ মোদী সরকার।
অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, মে থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১১টি রাজ্য কেন্দ্রের শর্ত মানতে রাজি হয়েছে। তাই শর্ত মানার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। অর্থাৎ, সময়সীমা বাড়ালেও, শর্ত ফেরাতে রাজি নয় তারা।
কোভিড ও লকডাউনের ধাক্কায় রাজ্যগুলি আর্থিক সঙ্কটে পড়ার কারণে রাজ্যগুলির বাজার থেকে ধার নেওয়ার সীমা তাদের জিডিপি-র ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাড়তি ২ শতাংশ বিন্দুর মধ্যে প্রথমে মাত্র ০.৫ শতাংশ শর্তহীন ছিল। পরে আরও ০.৫ শতাংশ শর্তহীন করে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু বাকি ১ শতাংশ ঋণের জন্য জরুরি এক দেশ-এক রেশন ব্যবস্থায় যোগদান, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সংস্কার, পুর এলাকায় কর বসানো, ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার মতো শর্ত পূরণ। যার মধ্যে অধিকাংশ সংস্কার নিয়েই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতিগত আপত্তি ছিল। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দাবি তুলেছিলেন, কোভিড-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিনা শর্তে বাড়তি ঋণ নিতে দেওয়া হোক। কিন্তু কেন্দ্র এখনও অনড়।
কেন্দ্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১১টি রাজ্য এই চার সংস্কারের মধ্যে অন্তত একটি মেনে নিয়েছে। ন’টি রাজ্য এক দেশ-এক রেশন ব্যবস্থা রূপায়ণ করেছে। চারটি রাজ্য ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে পদক্ষেপ করেছে। মাত্র একটি রাজ্য কেন্দ্রের কথামতো পুর-পরিষেবায় কর বসিয়েছে। এই রাজ্যগুলিকে বাড়তি ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের আশা, সময়সীমা বাড়ানোয় সংস্কারের কাজ সেরে বাড়তি ঋণ নিতে পারবে অন্য রাজ্যগুলিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy