প্রতীকী ছবি।
স্থানীয় গুন্ডার অত্যাচারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেটাই ‘অপরাধ’। এক বছর ধরে ওই গুন্ডারই অঙ্গুলিহেলনে সামাজিক ভাবে একঘরে হয়ে গিয়েছেন ওঁরা। এখন সকলে মিলে আত্মহত্যা করার কথা ভাবছে ছত্তীসগঢ়ের পরিবারটি।
ছত্তীসগঢ়ের মহাসমুন্দে চারোডা গ্রামে সিংহ পরিবারের চার জন একসঙ্গে থাকেন। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন ওঁরা। নীতু সিংহের অভিযোগ, ‘‘শেখর চন্দ্র এলাকার মস্তান। ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। শেখর শুধু আমাদের একঘরে করেই রাখেনি, আমাদের চেনা-পরিচিত অন্যদেরও হেনস্থা করছে। আমাদের চেনা লোক হলে তাদের ২০০০ টাকা করে ‘জরিমানা’ করছে। আমাদের ব্যাপারে কেউ মুখ খুললে হাতেনাতে তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে ‘জরিমানা’ নিচ্ছে।’’
সিংহ পরিবারের বক্তব্য, দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকার ত্রাস শেখর। ওঁরা সাহস করে পুলিশে জানানোর পর থেকে ওঁদের সামাজিক ভাবে একেবারে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে চললে এঁদের সামনে আত্মহত্যা করা ছাড়া পথ থাকবে না, দাবি সিংহদের। নীতুর বক্তব্য, বিষয়টি পুলিশ সুপার এবং কালেক্টরকে জানিয়েছেন ওঁরা। কিন্তু সুরাহা হয়নি। এ দিন যোগাযোগ করা হলে সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্ট মেঘা তেম্ভুরকর বলেন, শেখর এবং আরও দু’এক জন গুন্ডার নামে সামাজিক বয়কট চালানোর একাধিক অভিযোগ এসেছে। স্থানীয় প্রভারি খিল্লারি থানাকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy