বিহারে সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া শুক্রবারই প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাতে ওই খসড়া তালিকা তুলে দেওয়া হবে। কারও নাম জুড়তে হলে বা কারও নাম ওই তালিকা থেকে বাদ দিতে হলে কী নিয়ম মানতে হবে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। সেখানেই সংশোধিত তালিকা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। শুধু রাজনৈতিক দলগুলি নয়, যে কোনও সাধারণ ভোটার এই তালিকা পরিবর্তনের আবেদন জানাতে পারবেন।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেখানকার ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) করছে কমিশন। তার জন্য প্রয়োজনীয় নথি নাগরিকদের জমা দিতে বলা হয়েছে। এই সংশোধিত তালিকার একটি খসড়া তৈরি করে ফেলা হয়েছে, যা শুক্রবার প্রকাশ করা হবে। জ্ঞানেশ জানিয়েছেন, খসড়া তালিকাটি যেমন হাতে হাতে বিহারের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হবে, তেমন তার ডিজিটাল প্রতিলিপিও আপলোড করা হবে। বিহারের ৩৮টি জেলায় ওই তালিকা পৌঁছে যাবে। তালিকা প্রকাশ করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকেরা (ডিইও)।
আরও পড়ুন:
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) এবং ২৪৩ জন ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার দায়িত্বে থাকবেন। যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার বা যে কোনও মান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি তাঁদের কাছে দাবিদাওয়া ও অভিযোগ নিয়ে যেতে পারবেন। ১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই অভিযোগ জানানো যাবে। কারও নাম যদি খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়ে গিয়ে থাকে, তাঁর নাম জোড়ার জন্য আবেদন জানানো যাবে। তালিকায় যদি এমন কোনও নাম থাকে যা থাকার কথা নয়, তা বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো যাবে। এ ছাড়াও খসড়া তালিকায় অন্য যে কোনও সংশোধনের জন্য এই এক মাসের মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন যে কেউ।’’
উল্লেখ্য, বিহারের এই ভোটার তালিকার সংশোধনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। দাবি, এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভোটাধিকার হারাবেন। কমিশন ভোটাধিকার যাচাইয়ের জন্য যে সমস্ত নথি চেয়েছে, সেই তালিকায় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বা রেশন কার্ডের মতো সহজলভ্য নথি রাখা হয়নি। এর বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছে বিরোধীরা। এ নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। গত শুনানিতে আধার কার্ড বিবেচনার কথা কমিশনকে বলেছিল শীর্ষ আদালত। বিতর্কের মাঝেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।