Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
LAC

নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়তি সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে চিন!

কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার মাধ্যমে লাদাখে চিনের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে ভারত।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ০৪:০৬
Share: Save:

লাদাখের কয়েকটি এলাকায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভারত ও চিনের সেনা পিছু হটছে বলে সরকারি সূত্রেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজ আবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে উদ্ধৃত করেই জানানো হয়েছে, লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত গোটা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে চিন। লক্ষণীয়, এই খবরেও মোদী সরকারের শীর্ষ সূত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই খবর অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশেও নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বাড়তি সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে চিন। কেবল লাদাখেই ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে তারা। এনেছে দূরপাল্লার কামান ও ট্যাঙ্কও। এএনআই-কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ওই ভারী অস্ত্রশস্ত্র আগে সরানোর দাবি করেছে ভারত। ভারতীয় সেনার মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা সেনা মোতায়েনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে।

অন্য দিকে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের জোহর উপত্যকায় কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মুন্সিয়ারি-বুগডিয়ার-মিলাম সড়ক তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য হেলিকপ্টারে ভারী যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে। ওই সড়কের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের ওই এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে থাকা সেনার পোস্টগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো যাবে। ২০১৯ সালে বেশ কয়েক বার ওই সড়ক তৈরির জন্য ভারী যন্ত্রপাতি পাঠানোর চেষ্টা করেছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পাথর কাটার যন্ত্রের অভাবে ওই পথ তৈরির কাজ বন্ধ ছিল।

আরও পড়ুন: লাদাখ বিবাদ মেটাতে সেনা ও কূটনৈতিক আলোচনা চলছে

কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার মাধ্যমে লাদাখে চিনের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে ভারত। গত কালও দু’দেশের সেনার ডিভিশনাল কমান্ডার স্তরে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু লাদাখে প্রকৃত অবস্থা সরকার স্পষ্ট করছে না বলেই মনে করেন বিরোধীরা।

রাহুল গাঁধী গত কাল স্পষ্ট বলেছিলেন, লাদাখে চিনা সেনা ভারতের জমি দখল করে রয়েছে। জবাবে কংগ্রেস জমানায় চিন কী ভাবে ভারতের জমি দখল করেছিল, তা জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু চিনা সেনা ভারতের জমি দখল করে আছে কি না, তা স্পষ্ট ভাবে অস্বীকারও করেনি সরকার বা বিজেপি। বিরোধীদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নিজে মুখ খুলছেন না। মাঝে মাঝে কিছু খবর ‘সরকারি সূত্রে’র মাধ্যমে ফাঁস করা হচ্ছে। ফলে বিভ্রান্তি বাড়ছে।

আরও পড়ুন: এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিং-এ এগিয়ে কলকাতা, ঠিক পরেই যাদবপুর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE