গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ডোকলামে চিনা সেনার শিবির তৈরির প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রকে বিঁধলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। সোমবার তিনি টুইটারে লেখেন, ‘শুধুমাত্র গালভরা বক্তৃতা আর জনসংযোগকে অস্ত্র করে চিনের ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের মোকাবিলা সম্ভব নয়। ভারত সরকারের পরিচালকদের এ বার এই সরল সত্যিটা উপলব্ধির সময় এসেছে’।
টুইটের সঙ্গেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর এবং উপগ্রহ চিত্র পোস্ট করেন রাহুল। সম্প্রতি ওই খবরে উপগ্রহচিত্র তুলে ধরে দাবি করা হয়, ডোকলাম থেকে ভুটানের অন্দরে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে এসে আস্ত একটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চিন।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সঙ্ঘাতের আবহে ডোকলাম মালভূমি এলাকায় ভুটানের জমিতে চিনের জবরদখলের খবর সামনে আসায় জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, শিবির স্থাপনের পাশাপাশি সেখানে রাস্তাও বানাচ্ছে চিন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ কিলোমিটার বানিয়ে ফেলা সেই রাস্তার অভিমুখ ভারত সীমান্তবর্তী জোমপেলরি গিরিশিরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাস্তা তৈরি হলে জোমপেলরি গিরিশিরায় সহজেই পৌঁছতে পারবে চিনা সেনা। ২০১৭ সালে ওই শৈলশিরা দখল করতে গিয়েই ভারতীয় সেনার বাধায় পিছু হটেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। উপগ্রহ চিত্র দেখে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ডোকা লা-য় ভারতীয় সেনা-পোস্টের কাছাকাছি থাকা ওই রাস্তা এখন শৈলশিরা পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়েছে চিন।
আরও পড়ুন: ‘আপত্তিকর পোস্ট’ আইন আপাতত কার্যকর নয়, ঘোষণা বিজয়নের
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞ নেথান রাশার বলেন, ‘‘মানচিত্রে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ভুটানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে চিন।’’ যদিও ভারতে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেতসপ নামগিয়েল জমি জবরদখলের বিষয়টি মানতে চাননি। গত সপ্তাহে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের জমিতে চিনের কোনও গ্রাম নেই।’’
আরও পড়ুন: ভুটানের ভিতরেই গ্রাম বানিয়েছে চিন!
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে ‘সঠিক তথ্য’ জানতে চেয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা তার জবাবে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে, ২০১৭ সালে ডোকলামে সঙ্ঘাতের সময় গোপনে ভারতের চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy