ভারত-চিন সীমান্তে মোতায়েন দুই বাহিনী। ফাইল চিত্র।
লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) মোতায়েনের জন্য হিন্দি জানা তরুণদের নিয়োগ করছে চিনা সেনা। সম্প্রতি চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের তরফে সে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ডিগ্রি-প্রাপকদের হিন্দি দোভাষী হিসাবে নিয়োগ করার তৎপরতা শুরু হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরেই চিনের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিন্দি দোভাষী নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে চিনা সেনা। ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অন্তর্গত শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট জুনের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চলেছে। চিন অধিকৃত তিব্বতের এলএসি-তে নানা গোপন তথ্য সংগ্রহের কাজের জন্যই ওই তরুণদের নিয়োগ করা হবে বলে ভারতীয় সেনার ধারণা।
লাদাখের গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘর্ষের পর প্রায় দু’বছর কাটতে চলেছে। কিন্তু সেখানকার এলএসি-তে এখনও সঙ্কট কাটেনি পুরোপুরি। হট স্প্রিং, গোগরা পোস্ট, দেপসাং এমনকি, প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ তীরের কিছু এলাকায় এখনও চিনা বাহিনীর ‘আধিপত্য’ বজায় রয়েছে অভিযোগ। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সূত্রে হিন্দি দোভাষী নিয়োগে খবর ভারতের পক্ষে উদ্বেগের বলেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা।
প্রসঙ্গত, গালওয়ান-কাণ্ডের পরেই তিব্বতি তরুণদের পিএলএ-তে শামিল করার তৎপরতা শুরু করেছিল চিন। উদ্দেশ্য, লাদাখের দুর্গম এলাকার সঙ্গে পরিচিত ওই তরুণদের যাতে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে কাজে লাগানো যায়। পাশাপাশি, তিব্বতে চিনা আগ্রাসনের ‘বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত দলাই লামা-সহ অন্য বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের ‘প্রভাব’ থেকে ওই তরুণদের বার করে এনে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাও শি চিনফিং সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy