ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করলেন। রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র তথা এলজেপি (রামবিলাস) দলের প্রধান চিরাগ পাসোয়ান জানিয়ে দিলেন বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি।
রবিবার বিহারের একটি জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী তথা হাজিপুরের সাংসদ চিরাগ বলেন, ‘‘আমি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছি।’’ সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েও কেন তিনি বিধানসভা ভোটে লড়বেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন চিরাগ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শুধু বিহার থেকেই ভোটে লড়ছি না। বিহার এবং সেখানকার মানুষদের জন্যও ভোটে লড়ছি।’’
একই সঙ্গে রামবিলাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে চিরাগ বলেন, ‘‘আমার বাবার স্বপ্ন আমি এখনও অনুভব করতে পারি। তাই বিহারকে বদলানোর জন্য বিহার এবং বিহারীদের অগ্রাধিকার দেব।’’ তবে কোন আসন থেকে তিনি লড়বেন, তা খোলসা করেননি চিরাগ। এই বিষয়ে বিহারের সাধারণ মানুষই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। চিরাগ এ-ও জানিয়েছেন যে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনা তাঁর নেই।
চিরাগ জানিয়েছেন, তিনি সংরক্ষিত কোনও আসন থেকেই লড়তে চান। এলজেপি (রামবিলাস)-এর একটি সূত্রের দাবি, চিরায়ত দলিত ভোটব্যাঙ্ককে সুরক্ষিত রেখেই বিহারে নিজের এবং দলের প্রভাব, প্রসার দুই-ই বৃদ্ধি করতে চান চিরাগ। চিরাগের অবশ্য দাবি, তিনি যা করবেন, তাতে আখেরে লাভবান হবে এনডিএ-ই।
বিহারের গত বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-তে থেকেও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল চিরাগের দল। ভোট কাটাকাটিতে আসন কমে জেডিইউর। বিহারে এনডিএ-র বৃহত্তম শরিক হিসাবে নীতীশের দলকে পিছনে ফেলে দেয় বিজেপি। রাজনীতির কারবারিরা অনেকেই মনে করেন, নীতীশকে চাপে রাখতেই ওই কৌশল নিয়েছিল পদ্মশিবির। চিরাগের এই ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের নেপথ্যে এমনই কোনও কৌশল রয়েছে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।