Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

কার নির্দেশে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল? প্রশ্ন তুলে জামিয়ার আন্দোলনের পাশে দাঁড়াল বামেরা

সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ ঢুকতে পারে না। গণতন্ত্রে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা দেশের সংবিধানের উপর আঘাত। উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের চেষ্টা।’’

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৫০
Share: Save:

জামিয়া-মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা করল বামফ্রন্ট। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এটা গণতন্ত্র ও সংবিধানের উপর আঘাত। যাঁর নির্দেশে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকেছিল, তাঁকে গ্রেফতার করা এবং গোটা ঘটনার তদন্তের দাবিও করেছেন বাম নেতারা।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে রবিবার উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকা। অভিযোগ, ওই ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের বেধড়ক পেটায় দিল্লি পুলিশ। পডু়য়াদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে। লাইব্রেরি, বাথরুমে ঢুকেও ছাত্রদের উপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রছাত্রীদের বার করে দেয়। গ্রেফতার করা হয় প্রচুর পড়়ুয়াকে।

এই ঘটনা ঘিরে দেশ জুড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় পড়ুয়াদের মধ্যে। প্রশ্ন ওঠে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ক্যাম্পাসে কী ভাবে পুলিশ ঢুকল। তার মধ্যেই এ বার আন্দোলনকারীদের পাশে দাড়াল বামেরা। সাংবাদিক সম্মেলনে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ ঢুকতে পারে না। গণতন্ত্রে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা দেশের সংবিধানের উপর আঘাত। উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের চেষ্টা।’’

ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়ারাও সোমবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রেফতার হওয়া ছাত্রছাত্রীর মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের এই আন্দোলনের পাশে রয়েছেন তাঁরা।’’ ডি রাজাও বলেন, ‘‘এটা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা। পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করছি।’’

দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন। সীতারাম ইয়েচুরি-ডি রাজারা বলেন, কে ক্যাম্পাসে ঢোকার নির্দেশ দিয়েছিলেন? যিনিই দিয়ে থাকুন, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। এই ঘটনার তদন্ত করা দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE