শশীকলার বিরুদ্ধে জেলের ভিতর ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ। ছবি: গেটি ইমেজেস।
ফের বিতর্কে শশীকলা নটরাজন। আর তাঁর সঙ্গে বিতর্কে রাজ্য পুলিশের দুই শীর্ষ আধিকারিকও।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় কর্নাটকের জেলে বন্দি এআইএডিএমকের এই প্রাক্তন নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জেলের ভিতর খাওয়াদাওয়ার অসুবিধা যাতে না হয়, তার জন্য এক্সক্লুসিভ রান্নাঘর তৈরি করিয়েছেন তিনি। কার্যসিদ্ধির জন্য জেল আধিকারিকদের নাকি দু’কোটি টাকা ঘুষও দিয়েছেন শশীকলা। শশীকে এই বিশেষ ব্যবস্থা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কর্নাটকের ডিআইজি রূপা মোদগিল। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কর্নাটকের ডিজি (কারা) সত্যনারায়ণ রাও। আদালতের নিয়ম পালন ছাড়া শশীকলাকে কোনও বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা ঘনিষ্ঠ শশীকলা আপাতত কর্নাটকের পরাপ্পানা অগ্রহর জেলে রয়েছেন। শীর্ষ আদালত তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন, গো-বিধি নিয়ে শীর্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা
বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল এআইএডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক নাকি জেলের ভিতর বাড়তি এবং বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। সম্প্রতি কর্নাটকের ডিআইজি রূপা মোদগিল একটি রিপোর্টে উল্লেখ করেন, শশীকলা জেলের ভিতর ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট’ পান। গত ২৩ জুন কারা দফতরে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। কাজে যোগ দিয়েই পরাপ্পানা অগ্রহর জেলের ভিতরের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিযোগের তির ছিল ডিজি কারা সত্যনারায়ণ রাওয়ের দিকেই। সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে মূলত ন’টি অভিযোগ করেন রূপা। রিপোর্টে উল্লেখ করেন, জেলের ভিতরের নিয়ম ভেঙে ভি কে শশীকলা নতুন একটি রান্নাঘর তৈরি করিয়েছেন। সেখানে তাঁর পছন্দমতো খাবার তৈরি করা হয়। এই বাড়তি সুবিধা ভোগ করেন স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত আব্দুল করিম তেলগিও। জেলের ভিতর এই সুবিধা পেতে জেল আধিকারিকদের দু’কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন আম্মা ঘনিষ্ঠ শশীকলা। সিসিটিভি ক্যামেরায় ঘটনার প্রমাণ পেলেও এখনও কোনও পদক্ষেপ করেননি ডিজি (কারা)। শুধু শশীকলার ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট’-ই নয়। জেলের সামগ্রিক পরিস্থিতিতেও নজরদারির অভাব রয়েছে। কয়েকদিন আগেই জেলের ভিতর এক মেডিক্যাল অফিসার এক কয়েদির হাতে আক্রান্ত হন। লোহার টুল নিয়ে হামলা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা জেনেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এর পাশাপাশি উপযুক্ত নজরদারির অভাবে জেলের ভিতর অবাধেই মাদকচক্র চলছে বলে অভিযোগ করেন রূপা। তিনি রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, ঘুষ দিয়ে জেলের ওষুধের দোকান থেকে সহজেই ঘুমের ওষুধ পাচ্ছেন কয়েদিরা।
যাবতীয় অভিযোগকে রটনা বলে উড়িয়ে অভিযোগকারী ডিআইজি রূপা মোদগিলের আইনের জ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাওয়ের দাবি, ‘‘শশীকলার ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ পালন ছাড়া কোনও কিছুই করা হয়নি। সব অভিযোগ মিথ্যে। ডিআইজি নিজেই নিয়ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy