এক ধাক্কায় পাল্টে দেওয়া হল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি।
গতকাল মাঝরাতে কেন্দ্রের একটি সিদ্ধান্তে ওই পরিচালন সমিতির পুরনো সদস্যদের সরিয়ে বসানো হল সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠদের। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্য পদ থেকে মেঘনাদ দেশাই, অর্মত্য সেন ও সুগত বসুকে সরিয়ে বসানো হয়েছে অরবিন্দ পানাগড়িয়া, অরবিন্দ শর্মা ও লোকেশ চন্দ্রকে। নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান অরবিন্দ নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ। অরবিন্দ শর্মা ও লোকেশ চন্দ্র সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ বলেই মনে করেন বিরোধীরা। অরবিন্দ শর্মা কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিলিজিয়াস স্টাডিজের অধ্যাপক। হিন্দু ধর্ম নিয়ে একাধিক বই রয়েছে তাঁর। আর লোকেশ চন্দ্র বর্তমানে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন’ সংস্থার সভাপতি পদে রয়েছেন। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে একাধিক গবেষণা কাজ রয়েছে তাঁর।
দীর্ঘ দিন ধরেই গৈরিকীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠদের বসানোর অভিযোগ উঠছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রথম দফায় আচার্য পদ থেকে সরতে হয়েছিল অমর্ত্য সেনকে। প্রথম পদক্ষেপে পরিচালন সমিতির সবুজ সঙ্কেত থাকা সত্ত্বেও আচার্য পদে অমর্ত্যবাবুর নামে দ্বিতীয় বারের জন্য অনুমোদন দিতে গড়িমসি করতে শুরু করে কেন্দ্র। ফলে নিজেই ওই পদ থেকে সরে যান অর্মত্যবাবু। এ বার মোদী সরকার উপাচার্য পদ থেকেও গোপা সভ্রওয়ালকে সরাতে চায় বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একাংশের মতে, অর্মত্যবাবুর পরে মোদী সরকারের অন্যতম পথের কাঁটা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ গোপা। সরকারি ভাবে বৃহস্পতিবার মেয়াদ শেষ হবে গোপার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গোপাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনি যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্ষীয়ান ডিনকে নিজের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তার মতে, গভর্নিং বডি থেকে অর্মত্য সেন, সুগত বসুদের সরিয়ে কেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছে উপাচার্য নির্বাচনের সময়ে তারা বিরোধী স্বর বরদাস্ত করবে না।