ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে। মঙ্গলবার ভোরে দেহরাদূনের সহস্রধারায় খুব অল্প সময়ের ফলে প্রবল বৃষ্টি হয়। জলের তোড়ে ভেঙে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ি। ভেসে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দোকানঘর এবং দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িও। নিখোঁজ অন্তত তিন জন। সোমবার গভীর রাতে হিমাচলের মন্ডী জেলার ধরমপুর শহরেও মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। খোঁজ নেই অন্তত দু’জনের।
ইতিমধ্যেই ওই দুই রাজ্যে উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল (এসডিআরএফ)-এর সদস্যেরা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের। তবে এখনও ফুঁসছে তমসা নদী। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকায় দেহরাদূনে সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্করসিংহ ধামীকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁরা উত্তরাখণ্ড সরকারকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন। ধামী জানিয়েছেন, তিনি প্রতিনিয়ত স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
হিমাচলের মন্ডীতে অল্প সময়ের প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে ধরমপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাস। সে রাজ্যে থাকা তিনটি জাতীয় সড়ক আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ৪৯৩টি ছোট এবং মাঝারি রাস্তায় যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়েছে। কাদাস্রোতে ডুবে গিয়েছে ১৫টি গাড়ি।
চলতি মরসুমে বার বার মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের বিস্তীর্ণ অংশ। ২০ জুন থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিমাচলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ২১৮ জনের। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি বছরের বর্ষায় হিমাচলে স্বাভাবিকের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ৪৪৬৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে হিমাচল সরকারের। অন্য দিকে, গত ৫ অগস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে আচমকা ক্ষীরগঙ্গা নদীতে হড়পা বান নামে। জলের তোড়ে সুক্কি, ধরালী-সহ একাধিক গ্রাম ধুয়েমুছে যায়। একের পর এক ঘরবাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। সরকারি হিসাবে মৃত পাঁচ। এখনও অনেকের খোঁজ মেলেনি।